লন্ডন ও বেলারুশ সফর শেষে শাহজালাল বিমানবন্দরে নেমেই বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানের সার্ভিসের দুর্দশা দেখে প্রধানমন্ত্রী এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রীর কাছে জানতে চান এই করুণ দশার কারণ। তিনি বলেন, আপনার কাজটা কী? আপনি কি করেন? আপনাদের জন্যই তো বিমান ৩০ বছর ধরে লোকসানে।

বুধবার দুপুর ২টা ১০মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র মন্ত্রী-নেতারা।
প্রথমেই সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শেখ হাসিনা। এরপর পর্যায়ক্রমে বেগম মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফ, উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। এসময় হঠাৎ নজর পড়ে বিমানমন্ত্রী ফারুক খানের উপর। কিন্তু শুভেচ্ছা বিনিময় নয়, প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ করলেন বিরক্তি, রাগ।
রাগের স্বরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান কীভাবে চলছে আপনি কি দেখেন না? আশ্চর্য! ৩০ বছর ধরে একইভাবে চলতে পারে বিমান সার্ভিস? আপনারা কি অন্য বিমানে চড়েন না? তাদের সার্ভিস দেখেও তো বোঝা যায়, শেখা যায়।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দলের শোচনীয় পরাজয়ে মন্ত্রী-নেতারা কেউই হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন না। বিমর্ষ থাকতে দেখা গেছে অধিকাংশকে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ দেখে কিছুটা অবাক হয়েছেন তারাও।
তোপের মুখে ফারুক খান প্রধানমন্ত্রীর দু’একটি কথার আমতা আমতা করে জবাব দিতে গেলেও তাতে কান দেননি তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আমি সব তথ্য নিয়ে এসেছি। এভাবে বিমান চলতে পারে না। প্রয়োজনে ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হবে, উন্নত করতে হবে সার্ভিস।

ইনফ্লাইট ডিউটি ফ্রি শপের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩০ বছর আগে যা ছিল, এখনো তাই আছে। ভেরিয়েশন না থাকলে, আর বেশি পণ্য না থাকলে লোকজন নেবে কেন? ফ্লাইটের খাবার-দাবারও আগের মতো।তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে শিশুদের জন্য খেলনা রাখার ব্যবস্থা থাকলেও বাংলাদেশ বিমানে সেসব কিছুই নেই। খুশি করতে এসময় ফারুক খান সব করার আশ্বাস দিলেও সেদিকে কর্ণপাত করেননি প্রধানমন্ত্রী।
