ads

বৃহস্পতিবার , ১১ জুলাই ২০১৩ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ-পরীক্ষার্থী দফায় দফায় সংঘর্ষ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জুলাই ১১, ২০১৩ ৩:৫৩ অপরাহ্ণ

dhakaঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশের সঙ্গে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বেলা সোয়া একটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে দুইটার দিকে পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হয়ে আসে।
এখন পর্যন্ত সংঘর্ষে পাঁচজন আহত ও পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সব পথ।
চাকরিতে বিদ্যমান সব ধরনের কোটা ও ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল বাতিল করে তা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে আন্দোলন করছেন এসব পরীক্ষার্থী।

Shamol Bangla Ads

চারুকলা অনুষদ: বেলা ১১টার দিকে ৩৪তম বিসিএসের পরীক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে সরে যেতে বাধ্য হয়। আরেকটি অংশ তখনো শাহবাগে অবস্থান করছিল। একপর্যায়ে পুলিশ ধাওয়া দিলে দলটি পিছু হটে যায়। এরপর চারুকলা অনুষদের সামনের রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরীক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের কয়েকটি শেল ছোড়ে। পরীক্ষার্থীরা এ সময় দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরীক্ষার্থীরা চারুকলার সামনে আগুন জ্বেলে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ এ সময় জাতীয় গণগ্রন্থাগারের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয়।
বেলা একটার দিকে চারুকলার সামনে পুলিশ আর আন্দোলনকারীদের মধ্যে আবার সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আহত হন একজন। ছাত্রলীগের ছেলেরা এ সময় মিছিল বের করে ‘শিবিরের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

উপাচার্য ভবন: শাহবাগ থেকে তাড়া খেয়ে আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীদের একটি মিছিল দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে নীলক্ষেতের দিকে এগিয়ে যায়। নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে পরীক্ষার্থীরা ইটপাটকেল ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। পরে মিছিলটি ফিরে এসে উপাচার্যের ভবনে হামলা চালায়। এ সময় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কেন, জবাব চাই’ স্লোগান দিতে থাকেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁরা দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজিচালতি একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন।
এরপর পরীক্ষার্থীরা শাহবাগের দিকে এগিয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে পুলিশ তাঁঁদের লক্ষ্য করে কাঁদানের গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ সময় ধোঁয়ায় পুরো এলাকা ছেয়ে যায়।
বেলা সোয়া একটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে আটজনকে আটক করে।

Shamol Bangla Ads

উপাচার্যের কার্যালয় অবরুদ্ধ: এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত উপাচার্যের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীরা। এ ছাড়া প্রশাসনিক ভবনের সামনে মল চত্বরে অসংখ্য পরীক্ষার্থী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নীলক্ষেত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পথে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের হামলা: বেলা পৌনে একটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও মাস্টার দা সূর্যসেন হল থেকে আসা ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মী। পরীক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে তাঁরা ছত্রভঙ্গ করে দিলেও তাঁরা আবার জড়ো হতে থাকেন। বেলা সোয়া একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে মাঠে নামেন।
কোটা রাখার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে থেকে ছাত্রলীগ একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি টিএসসির সামনে গিয়ে শেষ হয়।

আহত পাঁচ: দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষে আহত পাঁচ ছাত্রকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, তাঁরা সবাই রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন। আহত ছাত্রদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন ফয়সল ও সালাম।
পুলিশের রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার শিবলী নোমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই তাঁদের শাহবাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শাহবাগে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে গতকাল বুধবার বিকেলে সদ্য প্রকাশিত ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)।
পিএসসি ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিলেও চাকরিতে বিদ্যমান সব ধরনের কোটা ও ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন পরীক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত তাঁরা শাহবাগ অবরোধ করে অবস্থান করেন।
পিএসসির পরীক্ষার ক্ষেত্রে এত দিন প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হতো। কিন্তু ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পর্যায় থেকেই কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। এতে অনেক চাকরিপ্রার্থী বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর পিএসসি বলেছে, শেষ পর্যায়ে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করলে কোটা পূরণ করার প্রার্থী পাওয়া যায় না, বছরের পর বছর পদ শূন্য থেকে যায়।
সাধারণ ক্যাডারের ৪৪২টি পদসহ মোট দুই হাজার ৫২টি পদে নিয়োগ দিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ৩৪তম বিসিএসের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। দুই লাখ ২১ হাজার ৫৭৫ জন প্রার্থী এই পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। গত ২৪ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এক লাখ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থী এতে অংশ নেন। গত সোমবার এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় এবং মোট ১২ হাজার ৩৩ জন উত্তীর্ণ হন।
পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গতকাল বিকেলে পিএসসি থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, ফলাফল নিয়ে কিছুসংখ্যক প্রার্থীর মধ্যে সৃষ্ট ভুল-বোঝাবুঝির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!