ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চৌরাস্তা মোড়ে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।

হেফাজতের নেতাকর্মীদের ঢাকায় লংমার্চে যেতে বাধা দেওয়ার জের ধরে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পুলিশ ও হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে হেফাজত নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের একপর্যায়ে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
নিহত নওশের খান (৪২) স্থানীয় নাছিরাবাদ ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি উপজেলার শিকদার কান্দা গ্রামের চাঁন মিয়া খানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকেই ভাঙ্গা চৌরাস্তার মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকে হেফাজত নেতাকর্মীরা। সকাল ৮টার দিকে সেখান থেকে তারা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নসিমনে করে লং মার্চ ও মতিঝিলের মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। পথে ভাঙ্গা পৌরসভার সামনে থেকে পুলিশ ও হরতাল সমর্থকরা তাদের নছিমন আটকে দিলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় হেফাজত নেতাকর্মীরা নওশের খানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
পরে হেফাজত কর্মীদের ধাওয়ায় পুলিশ ও হরতাল সমর্থকরা পালিয়ে যায়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কমপক্ষে ছয় রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এরপর থেকে হেফাজত নেতাকর্মীরা চৌরাস্তার মোড়ে জায়নামাজ বিছিয়ে অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও দেশি বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হচ্ছে।
এনিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানান। এ ঘটনায় দুপুর সোয়া ১২টায় হেফাজতের নিজাম উদ্দীন, তৈয়ব, ইমাম ও রাসেলকে আটক করেছে পুলিশ।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।অপরদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, খবর পেয়ে তিনি পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের কয়েকশ’ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছেন।
