সাংবাদিক হামলার পর এবার মিছিল নিয়ে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চে হামলার চেষ্টা চালিয়েছে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। শনিবার বিকেল পাঁচটার পর তারা এ চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে তারা রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনার সামনে কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা চলে যায়। হেফাজত কর্মীদের ইটের আঘাতে গুরুতর আহত একজন। এদিকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থান করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।হেফাজতের মিছিলটি শিশু পার্ক আসলে সেখানে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়, এতে তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে ঢুকে যায়। উদ্যানের ভেতরে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও হেফাজতের লোকজনের সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে মঞ্চের কর্মীরা মূল সড়কে এসে অবস্থান নেয়।

বিকেলে হেফাজতের লোকজন শাহবাগের দিকে এগিয়ে আসতে চাইলে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয়। এতে হেফাজতের লোকজন পিছু হটতে বাধ্য হয়।
এর আগে পুলিশি বাধা ডিঙিয়ে হেফাজতের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। মৎস্য ভবনের সামনে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল, ইটপাটকেল ছুড়ে মারে।শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের ব্লগারদের ‘নাস্তিক’ আখ্যায়িত করে তাদের শাস্তির দাবিতে দুপুরে মতিঝিলে সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম, যাদের বিরুদ্ধে জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটও হেফজতের কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে।
অন্যদিকে হেফাজতের এই কর্মসূচি প্রতিহত ও জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ ২৫টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী সংগঠন শুক্রবার সন্ধ্য ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার হরতাল পালন করে।
