সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন,“এই সরকারই বড় রাজাকার, আমরাও ক্ষমতায় এলে বিচার করবো। সে বিচার হবে আন্তর্জাতিক মানের, নিরপেক্ষ। সে বিচার নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবে না। এ সরকারও মানবতাবিরোধী কাজ করছে। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। একদিন এদেরকেউ কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরার কলারোয়া জিকে এম মডেল পাইলট হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত শোকসভায় দেওয়ার বক্তৃতায় এসময় তিনি আরও বলেন , আমরা সত্যিকারের রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী দেখিয়ে দিতে পারব। আপনারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।
আপনাদের মধ্যেই বড় বড় রাজাকার লুকিয়ে আছে । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একজন বড় রাজাকার, তাকে ধরে ফাঁসি দিন । তাহলে বুঝতে পারবো আপনারা সত্যিকারে রাজাকারের বিচার করছেন।
তিনি বলেন, “তাদের এখন টার্গেট আমি। আমাদেরকেও নাকি ধরা হবে। কিন্তু আমি ভয় পাই না। আমি এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। গণতন্ত্রের পক্ষে আন্দোলন করেছি। আমাদের গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এদেশকে বাঁচাতে হবে, মানুষকে বাঁচাতে হবে।”
এ সময় শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে সবাইকে রাজপথে নামার আহবান জানান খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, “এক দিকে খুনি সরকার, আর একদিকে জনগণ। এ সরকারের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
এ সময় যতো দ্রুত সম্ভব পদত্যাগ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করারও আহবান জানান খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, “যতোই ষড়যন্ত্র করুন না কেন, ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এখনো সময় আছে, পদত্যাগ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দিন।”
তিনি বলেন, “এই খুনি ও লুটেরা সরকার যত দ্রুত বিদায় নেবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল। দেশকে বাঁচাতে হলে এই লুটেরা সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।”
পদ্মাসেতু প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, “আমরা ক্ষমতায় গেলে দু’টি পদ্মা সেতু হবে। একটি মাওয়া দিয়ে, অপরটি পাটুরিয়া দিয়ে।”
সরকারকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে “তারা দুর্নীতি আড়াল করতে মানুষ খুনের উৎসবে মেতেছে” বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।
এ সময় বর্তমান সরকার কুইক রেন্টালের নামে কোটি কোটি টাকা লুট করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি
হরতালের সহিংসতায় নিহতদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনারা সাধারণ মানুষকে হত্যা করে মানবাধিকার লংঘন করেছেন । আপনাদের একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।”
