দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরে বিভিন্ন সীমান্তের পয়েন্ট দিয়ে অবাধে আসছে মরন নেশা ফেন্সিডিল আর তা মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। বর্তমানে দিনাজপুর শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ যুবক মরন নেশা ফেন্সিডিল সেবন করছে। এই ফেন্সিডিলের ছত্রছায়ায় সমাজে যুবকদের মাঝে ভয়াবহতায় নিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ নেই অথচ সহযোগীতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা দিনাজপুর যার চারপাশ জুড়ে রয়েছে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সীমান্ত এলাকা। জেলার দিনাজপুর সদর, বিরল, বোচাগঞ্জ, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, হাকিমপুর উপজেলার পাশ দিয়ে রয়েছে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা। বাংলাদেশ-ভারতের এসকল সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবাধে আসছে মরন নেশা ফেন্সিডিল। ফেন্সিডিল এখন দিনাজপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ কোতয়ালী রামসাগর এলাকায় প্রকাশ্যে বস্তায় বেধে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিনের ২৪ ঘন্টাই প্রকাশ্যে মরন নেশা ফেন্সিডিল বিক্রি হচ্ছে। মরন নেশা ফেন্সিডিল বিক্রি করতে পুলিশ একটি বিশাল অংকের একটি মাসোয়ারা পেয়ে থাকেন বলে দিনাজপুর রামসাগর এলাকার একজন ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী বলেন। তিনি আরো বলেন, আপনারা দেখছেন না, প্রকাশ্যে রান্তার উপরে এভাবে ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল বিক্রি করার সাহস কি কেউ এমনি পাবে পুলিশকে ম্যানেজ না করলে ? সে ব্যবসায়ী আমাদের জানান, মরন নেশা ফেন্সিডিল এখন পুলিশ সদস্যদের মাঝে ছড়িয়ে গেছে। মাদক বিক্রির স্পটে কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকলে দেখা যায়, প্রায় ২ ঘন্টা যাবৎ একের পর এক মোটর সাইকেল যোগে যুবকেরা ফেন্সিডিল সেবনের জন্য শহর থেকে দক্ষিণ কোতয়ালী এলাকার দিকে আসছে। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসা করলে জানাযায়, এভাবে প্রতিনিয়তই শহরের যুবকেরা মরন নেশা ফেন্সিডিল সেবন করতে আসে। এদিকে দিনাজপুর শহরে এক জরিপে দেখা যায় প্রায় ৮০ শতাংশ যুবক ফেন্সিডিল সেবনে আসক্ত। এবিষয়ে দিনাজপুর সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মাহাতাব উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যে ভাবে যুব সমাজ মরন নেশা ফেন্সিডিলের দিকে ঝুকছে এতে করে আমাদের দেশের ভবিষৎ অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে। আর যে মরন নেশা আমাদের সমাজের যুব সমাজকে ধ্বংস করছে সে ফেন্সিডিল বিক্রেতাদের যদি পুলিশ অর্থের বিনিময়ে সহযোগীতা করে তাহলে এটা আমাদের একটা বিশাল লজ্জা ও দুঃখের বিষয়। দিনাজপুর জেলা জুড়ে মরন নেশা নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেন্সিডিল বন্ধ করতে দেশের উচ্চ পর্যায়ের সংশীষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি দেওয়ার জন্য দিনাজপুর জেলার সর্বস্তরের সাধারন নাগরীকরা জোর দাবী জানিয়েছেন।
