অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনকে পেছনে ফেলে আবারো আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে সেরা অলরাউন্ডারের আসন পুনরুদ্ধার করেছেন সাকিব আল হাসান।

জন্মদিনের দুই দিন পরই এ সুসংবাদ পেলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব।
সিবি সিরিজে ব্যাট-বলের দারুণ পারফর্ম্যান্সে সাকিবকে পেছনে ফেলে ৮ মার্চ দ্বিতীয় বারের মতো শীর্ষে উঠে আসেন ওয়াটসন।

প্রথমবার ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের শীর্ষ স্থান হারানোর পর শীর্ষে ফিরতে সাকিব সময় নিয়েছিলেন আট ম্যাচ। এবার নিলেন চার ম্যাচ। এশিয়া কাপের চার ম্যাচে ২৭ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করে তিন সপ্তাহেরও কম সময়ে শীর্ষে ফিরলেন সাকিব।
টুর্নামেন্টে ২৩৭ রান করে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ১৪ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১২তম স্থানে। ৬ উইকেট নিয়ে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ নিচে নেমে আট নম্বরে রয়েছেন তিনি।
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠেন সাকিব। সম্মানটা ২০১১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ধরে রেখেছিলেন তিনি।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসনের কাছে শীর্ষস্থান হারালেও মাত্র ৮ ম্যাচ (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচটি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি) খেলেই গত নভেম্বরে ওই গৌরব ফিরে পান এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
তার পরের মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বরে টেস্ট অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানও দখল করেন সাকিব। গত সপ্তাহে আইসিসির প্রকাশিত সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে সম্মানটা ধরে রেখেছেন তিনি।
টেস্টে ৪০৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন সাকিব। ৩৯৩ পয়েন্ট নিয়ে ঠিক তার পেছনেই রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস।
১২৬টি ওয়ানডেতে ৫ শতকসহ ৩৫.৬৩ গড়ে সাকিবের রান ৩৬৩৫। আর ২৮.৮৫ গড়ে নিয়েছেন ১৬০ উইকেট।
২৬ টেস্টে ৩৪.৬৮ গড়ে দুই শতকসহ সাকিবের রান ১৬৩০। আর ৩১.৩৬ গড়ে নিয়েছেন ৯৬ উইকেট।
