ল্যাপটপ কোলের ওপর বা শরীরের কাছাকাছি ব্যবহার করায় ক্ষতির আশংকা করছেন গবেষকরা। এ বিষয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফল বলছে ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির ল্যাপটপ ব্যবহারে শুক্রাণু সংখ্যা কমে যেতে পারে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইন-এর।
ল্যাপটপ যে তাপ তৈরি করে তাতে যে ক্ষতি হয় তার চেয়েও ওয়াই-ফাই সিগনালযুক্ত ল্যাপটপ ব্যবহারে ক্ষতির মাত্রা বেশি হয় বলেই গবেষকদের মত।
যুক্তরাষ্ট্র এবং আর্জেন্টিনার গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, ওয়াই-ফাই সিগনাল শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং জেনেটিক কোডেও পরিবর্তন করতে পারে।
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি’ সাময়িকীতে।
গবেষকদের মতে, ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি থেকে যে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তেজস্ক্রিয়া নির্গত হয় তার প্রভাব পড়ে শুক্রাণুতে। এর ফলে, শতকরা ২৫ ভাগ শুক্রাণু নড়াচড়া করতে পারে না এবং ৯ ভাগের ডিএনএ পরিবর্তন হয়ে যায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে দীর্ঘক্ষণ ডাউনলোড করা বা অতিরিক্ত গরম হওয়া ল্যাপটপে এ সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে, ঠিক কোন মডেলের ল্যাপটপে বেশি সমস্যা হয় সে বিষয়ে গবেষণা প্রয়োজন বলেই গবেষকরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কোলের ওপর ল্যাপটপ ব্যবহার করলে অতিরিক্ত তাপে শুক্রাণুর ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা গবেষকরা আগেই জানিয়েছিলেন।