
আজ খুব একটা জ্বলে উঠতে পারেননি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শাহজাইব হাসান। তবে জয়ের দেখা ঠিকই পেয়েছে রাজশাহী

ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের বেঁধে দেওয়া মামুলি ১১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রীতিমতো ধুঁকতে ধুঁকতেই ম্যাচটা জিতেছে বিপিএলে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা দুরন্ত রাজশাহী।
শন আরভিনের ২৭ ও অধিনায়ক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বশীল ব্যাটিং চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতি থেকেও ৩ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে রাজশাহীর।

শুরুটা কিন্তু ভালোই ছিল দুরন্ত রাজশাহীর। জুনায়েদ সিদ্দিকীর ব্যাটে ছিল খুনে আমেজ। ছক্কা দিয়েই শুরু করেছিলেন নিজের ইনিংস।
সঙ্গে ইনফর্ম শাহজাইব আহমেদ তো ছিলেনই। কিন্তু রাজশাহীর ইনিংস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বদলে গেল সবকিছু। মাশরাফির দারুণ একটি বলে বোল্ড হন জুনায়েদ। বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার সময় শান্ত-ঠান্ডা জুনায়েদকে কী যেন বলেছিলেন কাইরন পোলার্ড।
মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জুনায়েদকে দেখা গেল বেশ উত্তেজিত। এর কিছু পরই বাজেভাবে বোল্ড হন মারলন স্যামুয়েলস। একে একে ফিরে যান শাহজাইব, আরভিন, সাব্বির। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে কিছুটা হাল ধরেছিলেন কানাডীয় রিজওয়ান চিমা। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাশরাফির বলে পোলার্ডের হাতে ধরা পড়ে ফিরে যান তিনি।
সৌম্য সরকারকে ধন্যবাদ দেবেনই দুরন্ত রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকেরা। এই তরুণ দারুণ বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী হয়ে রাজশাহীকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরের কাছে। তিনি রানা নাভিদের বলে আউট হন ১১ রানে। তবে ততক্ষণে দুরন্ত রাজশাহীর বিপদ কেটে গিয়েছিল অনেকটাই।
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের পক্ষে আজ দারুণ বল করেছেন মাশরাফি। ৪ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট তাঁর। এ ছাড়া রানা নাভিদ ও ইলিয়াস সানিরও শিকার জোড়া উইকেট। আজকের ম্যাচে হেরে গেলেও সেমিফাইনাল অবশ্য নিশ্চিত হয়ে গেছে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের। ১১৬ রানকে রাজশাহী যদি ১৫ ওভার ২ বলে টপকে যেতে পারত, তাহলে ঢাকা বাদ পড়ে যেত। ভাগ্য খুলে যেত চিটাগং কিংসের। কিন্তু রাজশাহী চিটাগংয়ের জন্য সেই ঝুঁকি নেয়নি।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস অল আউট হয় মাত্র ১১৬ রানে। মোহাম্মদ সামি ঢাকাকে সামনে পেয়ে জ্বলে ওঠেন আরও একবার। মাত্র ৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ঢাকাকে একপ্রকার গুঁড়িয়েই দেন তিনি। স্টিভেন্স, নাজিমউদ্দিন ও আশরাফুল যথাক্রমে ২৮, ২৬ ও ২৩ রান করে এক শর কোটা পার হতে সহায়তা করেন ঢাকাকে।
