চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে মেয়াদি শিল্পঋণ বিতরণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় সাড়ে ২৩ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে আরও দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিতরণ করা শিল্পঋণের পরিমাণ দুই হাজার ৫১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকগুলো নয় হাজার ৭২০ কোটি ৩০ লাখ টাকার ঋণশিল্প খাতের জন্য বিতরণ করেছিল। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ফলে প্রথমার্ধে ২১ হাজার ৯৫৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার শিল্পঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে শিল্পঋণ বৃদ্ধির প্রবণতা থেকে প্রতীয়মান হয়, শিল্প খাতে অর্থায়নের চাহিদা বেড়েছে। এই সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জোগান পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বিভিন্ন শিল্পকারখানায় নিয়মিত উৎপাদনও বেড়েছে।
একই সঙ্গে কিছু কিছু কারখানা উৎপাদন সম্প্রসারণের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলেও মূলধনি যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামালের আমদানির উপাত্ত বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিদ্যমান উৎপাদন বজায় রাখার দিকে ঝোঁক ছিল।
অন্যদিকে ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ১৭ হাজার ৩০৫ কোটি ২৮ লাখ টাকার মেয়াদি শিল্পঋণ বিতরণ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, ঋণ বিতরণের পাশাপাশি বকেয়া ঋণ আদায়ও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে যেখানে ১৫ হাজার ১৭১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বকেয়া শিল্পঋণ আদায় করেছিল ব্যাংকগুলো, সেখানে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে আদায় হয়েছে ১৭ হাজার ৪৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
