ads

রবিবার , ১৭ মার্চ ২০১৩ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

নারীবান্ধব সরকার এবং আর্ন্তজাতিক নারী দিবস

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
মার্চ ১৭, ২০১৩ ২:০৬ অপরাহ্ণ
নারীবান্ধব সরকার এবং আর্ন্তজাতিক নারী দিবস

ajeyobangla..61-236x300৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সকল মানুষের সমান অধিকারের বিষয়টি যেখানে সব ধর্মে দেয়া; তখন নারীকে আলাদা করে না দেখে নিরন্তর এগিয়ে চলার জন্য নারী উন্নয়ন-নারী উত্তরণের যে জোয়ার এসেছে বাংলাদেশে; সে জোয়ারের জন্য নিবেদিত রয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে পরে আসছি, আগে এই নারী দিবসের ইতিহাস সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করছি। ইতিহাস সবসময় সত্য নিয়ে এগিয়ে চলে; আর তাই ইতিহাস বলে যে, নারী দিবসের শুরু ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ । সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুঁচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। আর এই সোচ্চার হওয়া, এই আন্দোলন নামার অপরাধে গ্রেফতার হন বহু নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই। তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় ‘নারী শ্রমিক ইউনিয়ন’। ১৯০৮ সালে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারী শ্রমিক একই দাবিতে আন্দোলন করেন। অবশেষে আদায় করে নেন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯১০ সালের এই দিনে ডেনমাকের্র কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এর পর থেকেই সারা বিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দু বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

Shamol Bangla Ads

এখন নারীরা কেবল তাদের অধিকার গুলোই পাচ্ছে না, পাচ্ছে তাদের উন্নয়ন-উত্তরণেরও পথ। যেভাবে বাংলাদেশে সময়ের সাথে সাথে বদলেছে নারীদের জীবন-জীবিকা আর পথচলা। বিশেষ করে বললে বলা যায়, নারীরা একজন পুরুষের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে সকল ক্ষেত্রে। মাতৃত্বকালিন ছুটি-বেতন বৃদ্ধি- ঐচ্ছিক ছুটির পাশাপাশি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় আমাদের দেশের নারীরা পাচ্ছে সরকারের পূর্ণ সহায়তা। এই ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখতে তৈরি হচ্ছে নারী সমাজ নিজ থেকেই। তারা গড়ে তুলছে সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে নিজেদেরকে। এই গড়ে তোলার পেছনে অবশ্য রয়েছে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ১৯৯৭ এবং এর সংশোধনীর ভূমিকা। যেখানে নারীর বিভিন্ন বিষয় এসেছে নিয়মতান্ত্রিকভাবে। বাংলাদেশে ইতোপূর্বে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনায় নারী উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচী ও কার্যক্রম গ্রহণ করা হলেও তা ছিল বিচ্ছিন্ন এবং সমন্বয়হীন৷ কিন্তু ১৯৯৫ সালে বেইজিং সম্মেলনে নারী উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনায় নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে যে ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছিল যা সংক্ষেপে পিএফএ (প্লাটফর্ম ফর একশন) নামে পরিচিত তার আলোকে প্রথম বারের মত একটি নারী উন্নয়ন নীতি ও কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়েছে৷ যার প্রধান লক্ষ্য নির্যাতিত ও অবহেলিত এ দেশের বৃহত্তম নারী সমাজের ভাগ্য উন্নয়ন করা৷ বাংলাদেশের নারীসমাজের নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক আন্দোলনের ফলেও নারী নীতিটি প্রণীত হয়৷ নারী সমাজ আশার আলো দেখে, কেননা এই নীতিমালা প্রণয়নের মধ্য দিয়ে নারীর প্রতি হাজার বছরের শোষণ ও বৈষম্য বিলোপ হবে, নারী সম-অধিকার লাভ করবে এইটিই ছিল সবার আশা। বাংলাদেশে প্রণীত নারী নীতিটি ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী সংস্থা NCWD (National Committee for Women Development) কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং ১৯৯৭ সালেই ৮-ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবসে এ নীতিটি ঘোষিত হয়৷ নীতিটিতে বাংলাদেশের নারীদের সাংবিধানিক নিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল৷

এই পথ দিয়ে এগিয়ে যেতে যেতে তৈরি হয়েছে নারী সমাজ। জীবনের জন্য ভালোবাসা। ভালোবাসার জন্য নারী। সেই নারীদেরকে কষ্ট নয় সুখের রঙধনু উপহার দিতে নারী উন্নয়ন নীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ কাজ করেছে। যেই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যসমূহ হলো-১৯৯৬ সালের ১২ ই জুন জাতীয় নির্বাচনে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বর্তমান সরকার (তত্কালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার) দেশে প্রথম বারের মত নারী উন্নয়ন নীতি প্রদান করেছেন, যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত ও অবহেলিত এদেশের বৃহত্তর নারী সমাজের ভাগ্য উন্নয়ন করা। সংশোধনী ২০০৪: ১৯৯৬ সালের ১২ ই জুন জাতীয় নির্বাচনে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বর্তমান সরকার দেশে প্রথম বারের মত নারী উন্নয়ন নীতি প্রদান করেছেন। এ লাইনটি বাদ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা করাই হলো মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। নারীকে শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসাবে গড়ে তোলা। নারী সমাজকে দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা। নারী পুরুষের বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন করা। সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিমন্ডলে নারীর অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করা। নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি সকল প্রকার নির্যাতন দূর করা। নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি বৈষম্য দূর করার সাথে সাথে রাজনীতি, প্রশাসন ও অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে, আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া এবং পারিবারিক জীবনের সর্বত্র নারী পুরুষের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করাও নারীর উন্নয়ন নীতির অন্যতম লক্ষ্য। এই লক্ষ্যকে ধারন করে নারীর স্বার্থের অনুকূল প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও আমদানী করা এবং নারীর স্বার্থ বিরোধী প্রযুক্তির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা ; নারীর সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য উপযুুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা ; নারীর জন্য উপযুক্ত আশ্রয় এবং গৃহায়ন ব্যবস্থায় নারীর অগ্রাধিকার নিশ্চিত কর; প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সশস্ত্র সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্থ নারীর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা ; বিশেষ দুর্দশাগ্রস্ত নারীর চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করা ; বিধবা, অভিভাবকহীন, স্বামী পরিত্যাক্তা, অবিবাহিত ও সন্তানহীন নারীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ; গণ মাধ্যমে নারী ও মেয়ে শিশুর ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরাসহ জেন্ডার প্রেক্ষিত প্রতিফলিত করা ; মেধাবী ও প্রতিভাময়ী নারীর সৃজনশীল বিকাশে সহায়তা দেয়া ; নারী উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়ক সেবা প্রদান করার বিষয়টি বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

Shamol Bangla Ads

নারী উন্নয়নের রাস্তায় এগিয়ে চলা নারীবান্ধব সরকার নারীর মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার বাস্তবায়ন; মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার সকল ক্ষেত্রে, যেমন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ যে সম-অধিকারী, তার স্বীকৃতি স্বরূপ নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ করা ; নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা ; নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন সংশোধন ও প্রয়োজনীয় নতুন আইন প্রণয়ন করা ; বিদ্যমান সকল বৈষম্যমূলক আইন বিলোপ করা এবং আইন প্রণয়ন ও সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিশন বা কমিটিতে নারী আইনজ্ঞদের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করা ; স্থানীয় বা রাষ্টীয় পর্যায়ে কোন ধর্মের, কোন অনুশাসনের ভুল ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারী স্বার্থের পরিপন্থী এবং প্রচলিত আইন বিরোধী কোন বক্তব্য বা অনুরূপ কাজ করা বা কোন উদ্যোগ নেয়া যাবে না ; বৈষম্যমূলক কোন আইন প্রণয়ন না করা বা বৈষম্যমূলক কোন সামাজিক প্রথার উণ্মেষ ঘটতে না দেয়া; গুণগত শিক্ষার সকল পর্যায়ে, চাকুরীতে, কারিগরী প্রশিক্ষণে, সম পারিতোষিকের ক্ষেত্রে, কর্মরত অবস্থায় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায়, সামাজিক নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য পরিচর্যায় নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত কর; মানবাধিকার ও নারী বিষয়ক আইন সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান ও সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করা ; পিতা ও মাতা উভয়ের পরিচয়ে সন্তানের পরিচিতির ব্যবস্থা করা, যেমন জণ্মনিবন্ধীকরণ, সকল সনদপত্র, ভোটার তালিকা, ফরম, চাকুরীর আবদেনপত্র, পাসর্পোট ইত্যাদিতে ব্যক্তির নাম প্রদানের সময় পিতা ও মাতার নাম উল্লেখ করা ; মেয়ে শিশুর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সাধন এবং সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নতুন আইন প্রণয়ন করা; বাল্যবিবাহ, মেয়ে শিশু ধর্ষণ, নিপীড়ন, পাচার এবং পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ কর; পরিবারের মধ্যে এবং বাইরে মেয়ে শিশুর প্রতি বৈষম্যহীন আচরণ এবং মেয়ে শিশুর ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরা ; মেয়ে শিশুর চাহিদা যেমন, খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা ; শিশুশ্রম বিশেষ করে মেয়ে শিশুশ্রম দূরীকরণ কর্মসূচী বাস্তবায়নের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের আইন করে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে, শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ-সেনাবাহিনী-বিমানবাহিনীসহ সকল ক্ষেত্রে নারীরা সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে। গার্মেন্টেসের শিল্পে ইতিমধ্যে নারী বিপ্লব ঘটেছে।৪০ লক্ষ শ্রমিকের মধ্যে ৮৫ ভাগ-ই নারী।রাষ্ট্রক্ষমতায়ও পিছিয়ে নেই নারীরা। আর এভাবে বাংলাদেশে সবসময় আমাদের মা, আমাদের বোন আর প্রিয়তমার জন্য নিবেদিত থাকুক প্রতিটি পর্ব। সেই প্রত্যাশা সবসময় আমি ধারন করি মনে-প্রাণে। কেননা, কবি নজরুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর যা কিছু সুন্দর চির কল্যাণকর অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী অর্ধেক তার নর…

সময়ের বিবর্তনে নারীর জন্য আমি আমার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘আমি একদিন চাঁদ হবো’র অপরাজিতা কবিতায় লিখেছি-

এখন নারী মানে পুরুষের ভোগের সামগ্রী আর করুণার পাত্র নয়,

এখন নারী মানে নিজের শরীরকে পণ্য করে বেঁচে থাকা নয়,

এখন নারী মানে নিজের শরীরের প্রতিটি বাকে আচ্ছাদিত করে রাখা নয়,

এখন নারী মানে নরপিশাচদের কাছে যখন তখন রক্তাক্ত হওয়া নয়,

এখন নারী মানে অন্ধকার জীবন কিংবা বেশ্যা বৃত্তি নয়।

নারী এখন যোদ্ধা, নারী এখন সাহসী

নারী এখন প্রতিবাদী, অধিকার আদায়ে তাঁরা প্রত্যাশী

নারী এখন মাথা উচু করে দাঁড়াতে শিখেছে

আমি নারীকে দেখি সচিবালয়ে, সর্বনি¤œ থেকে সর্বোচ্চ পদে,

আমি নারীকে দেখি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে

আমি নারীকে দেখি সেনাবাহিনী পুলিশ কিংবা বৈমানিক রুপে

নারী এখন খেলার মাঠে ফুটবল কিংবা ক্রিকেটে

নারী এখন এভারেস্ট করে জয়ী , আসে বিজয়ীর বেশে।

নারী এখন বুদ্ধিজীবি, ব্যারিস্টার, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, উকিল

নারী এখন নোবেল বিজয়ী, সাহিত্যিক, গবেষক, বিজ্ঞানী, সমাজসেবী

নারী এখন রাজনৈতিক নেত্রী, নারী এখন প্রধানমন্ত্রী

নারী এখন স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র মন্ত্রী, নারী এখন কৃষি মন্ত্রী

নারী এখন সংসদ নেতা, নারী এখন সংসদ উপনেতা

সরকার দলীয় নেতা কিংবা বিরোধী দলীয় নেতা।

কোথায় নেই নারী

নভোচারীও নারী, চাঁদে হেটেছে নারী

রাজনীতি নিয়ন্ত্রনে নারী, দেশের অর্ধেক ভোটার নারী

নারী এখন ফেলনা কিংবা খেলা নয়

নারী ছাড়া উন্নয়ন শুধু স্বপ্নই রয়।

নারী মানেই অপরাজিতা; তৈরি আলোর ফুল

নারী মানেই জীবনব্যাপী সুখের নদীকূূল…

জেড এম কামরুল আনাম : রাজনীতিক, কলামিস্ট এবং কবি

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!