চালকবিহীন উড়োজাহাজে (ড্রোন) এবার যুক্ত হচ্ছে নতুন এক প্রযুক্তি। রোবটচালিত এই উড়োজাহাজটি বাতাসের শক্তিতেই ভেসে চলবে সপ্তাহের পর সপ্তাহ। এটি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এবং নজরদারি অব্যাহত রাখবে। এই নজরদারির আওতায় থাকবে সমুদ্রের গভীরে অবস্থানরত প্রাণীরাও ।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের মন্টেরিতে অবস্থিত নৌবাহিনী স্নাতকোত্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মাণ করা হচ্ছে টিএএলইইউএএস নামের একটি ড্রোন। যাত্রা শুরুর সময় বিদ্যুতের প্রয়োজন হলেও এটি কয়েক মিনিটেই পৌঁছে যাবে উল্লেখযোগ্য উচ্চতায়। তারপর বাতাসের স্রোতের সাহায্যে দীর্ঘক্ষণ আকাশে ভেসে থাকতে পারবে ড্রোনটি।
টিএএলইইউএএস নির্মাতা দলের প্রধান কেভিন জোন্স বলেন, ড্রোনটি ওপরে ওঠে আশপাশে বাতাসের ঘূর্ণিকে ব্যবহার করে। শকুন ও ইগল পাখিও একই কৌশলে আকাশে ভেসে থাকে।
ড্রোনটিতে বিশেষ প্রয়োজনীয় মুহূর্তের জন্য থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা (ব্যাটারি)। উড়োজাহাজটির ডানায় জুড়ে দেওয়া হচ্ছে সৌরকোষ। তাতে দিনের কাজ চলে যাবে। রাতে শক্তি সরবরাহ করবে লিথিয়াম-পলিমার ও লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। উড়োজাহাজটি বিশেষ সফটওয়্যারের সাহায্যে নির্ণয় করতে পারবে ভেসে চলার উপযোগী বাতাস এবং বিপজ্জনক অঞ্চল। দি ইকোনমিস্ট।