দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবার সমুদ্রে যাত্রা করবে টাইটানিক। তবে একশত বছর আগের ডুবে যাওয়া সেই টাইটানিক নয়- সেটির আদলে তৈরি করা নতুন আধুনিক জাহাজ যার নাম টাইটানিক-২, একশ বছর আগে ডুবে যাওয়া হুবহু আরেকটি টাইটানিক তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ধনকুবের ক্লিভ পামার। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি এই আধুনিক টাইটানিক-২ তৈরির ঘোষণা দিয়ে এর নকশাও দেখিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

টাইটানিকের সমুদ্র যাত্রার আগে দাবি করা হয়েছিল কখনো ডুববে না সেটি। কিন্তু প্রথম যাত্রাই সফল হয়নি। টাইটানিক-২ কখনোই ডুববে না এমন দাবি করেননি ক্লিভ পামার। যে নকশায় টাইটানিক তৈরি করা হয়েছিল তাতে জাহাজটি কখনোই ডুববে না বলে দাবি করেছিলেন এর নির্মাতারা। ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পরই একটি হিমবাহের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় সেই সময়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিক। এতে মারা যায় ১৫শ মানুষ। এখন সেই জাহাজেরই রেপ্লিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়ে পামার বলছেন, ছিদ্র থাকলে ডুবে যেতে পারে যে কোনো জলযান।
টাইটানিক-২ তৈরি করবে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিএসসি জিনলিং শিপইয়ার্ড। আগামী সপ্তাহেই নির্মাণচুক্তি সই হবে এবং এ বছরের শেষ নাগাদ জাহাজ তৈরির কাজ শুরু হবে। ২০১৬ সালে জাহাজটি সমুদ্রে যাত্রা করতে পারবে বলে জানান পামার।

ডুবে যাওয়া টাইটানিকের পথেই ছয়দিনে আটলান্টিক পাড়ি দেবে নতুন টাইটানিক-২, মূল টাইটানিকের চেয়ে বেশি লাইফবোট এবং যাত্রীদের জন্য আরো নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে এ জাহাজে। জাহাজটির নকশা প্রস্তুতকারী ফিনিশ কোম্পানির পরিচালক মারকু ক্যানরেভা বলেছেন, এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ জাহাজ। এটি প্রমোদতরী হিসেবেই পরিচালনা করা হবে। টাইটানিকের মতোই সজ্জিত থাকবে কক্ষগুলি। যাত্রীরা ফিরে যাবেন সেই যুগে। জাহাজটিতে তিনটি পৃথক শ্রেণী থাকবে। তবে কোন যাত্রী তিন শ্রেণীর সেবা পেতে চাইলে তার জন্যও টিকেট রাখা হবে। টিকেটের দাম পরে নির্ধারণ করা হবে।
