ডেস্ক, ২৯ জানুয়ারি : মিশরে প্রেসিডেন্ট মুরসি ঘোষিত রাতব্যাপী কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। এসময় বেশ কয়েক স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা গেছে।

অব্যাহত সহিংসতার দরুণ গত রোববার মুরসি পোর্ট সৈয়দ, ইসমাইলিয়া, ও সুয়েজ শহরে জরুরি অবস্থা ও রাতে কারফিউ জারি করে। কিন্তু গত সোমবার অন্ধকার হওয়ার পরপরই কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভ শুরু হয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম মিনা জানিয়েছে সোমবারও পোর্ট সৈয়দ দিনের বেলায় পৃথক সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে ৬ জন নিহত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন মিনা বলেছে, শুধুমাত্র সোমবারই সমগ্র মিশর জুড়ে সহিংসতায় কমপক্ষে ৫৯০ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশই পোর্ট সৈয়দ শহরে।

জানা যায়, পোর্ট সাইদে রাত নামার পর কারফিউয়ের মধ্যেই একদল লোক একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালালে সেখানে আরও একজন নিহত হয় বলে নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র। এসময় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়।
পোর্ট সৈয়দের মতো আরেক শহর সুয়েজেও কারফিউয়ের মধ্যেই বিক্ষোভ হয়েছে। জানা গেছে, এদিন কয়েকশ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করে প্রাদেশিক সরকারের সদরদপ্তরের দিকে এগোতে চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রাজধানী কায়রোতে কারফিউ জারি না করা হলেও সেখানেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার শহরের তাহরির স্কয়ার সংলগ্ন এলাকায় গুলিতে একজন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া তাহরির স্কয়ার সংলগ্ন কাসের ইল-নীল ব্রিজের কাছে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত পাঁচ দিনে দেশটিতে সহিংসতায় কয়েক ডজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গত রোববার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট মুরসি বিরোধীদের প্রতি জাতীয় সংলাপে বসার আহ্বান জানান। তবে বিরোধী দলগুলো মুরসির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে যতক্ষণ সরকার তাদের বিরুদ্ধে মামলা হামলার মতো অন্যায় সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে না আসবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে মিশরের বন্দর নগরী পোর্ট সাইদে স্থানীয় ও কায়রোর দুটি ফুটবল ক্লাবের ম্যাচ চলাকালীন অবস্থায় সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্ট দাঙ্গায় ৭৪ জন নিহত হয়। গত রোববার ওই মামলায় ২১ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় একটি আদালত। এরপরই মিশরের বেশ কয়েকটি শহরে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
