ads

শনিবার , ৬ জুলাই ২০১৯ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেষ হলো বাংলাদেশের সুখ-দুঃখের বিশ্বকাপ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জুলাই ৬, ২০১৯ ১২:৪৭ অপরাহ্ণ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক : শেষ ম্যাচে হেরে বিখ্যাত লর্ডসে শুক্রবার শেষ হয়ে গেলো বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ অভিযান। আশার মাত্রাটা আগের তুলনায় এবার খানিকটা বেশিই ছিল। তবে বারবার আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালের টিকেট ভাগ্যে জোটেনি টাইগারদের। ওই ‘না পাওয়ার’ হিসেবটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললে এই বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তিটা মোটেই হেলাফেলা করার মতো নয়।
বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে আটটি ভেন্যুতে টাইগাররা খেলেছে মোট ৯টি ম্যাচ। প্রায় দেড় মাসের অভিযান গতকাল লর্ডসে শেষ লড়াই ছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের সাথে। এর আগে গত ২ জুন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ রানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সাথে লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে হারতে হয়। পরাজয়ের ধারা অব্যাহত থাকে কার্ডিফে পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের সাথেও। ওই ম্যাচে বাংলাদেশকে ১০৬ রানে হারায় স্বাগতিকরা। ব্রিস্টলে শ্রীলঙ্কার সাথে চতুর্থ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে না হওয়ায় এক পয়েন্ট নিয়েই খুশি থাকতে হয় বাংলাদেশকে।
টনটনে ফের ঘুরে দাঁড়ায় মাশরাফিরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩২১ রানের বড় টার্গেট পার হয়ে যায় মাত্র ৩ উইকেট খরচায়। অস্ট্রেলিয়ার সাথে পরের ম্যাচেই ফের হোঁচট খেতে হয়। অসিদের ৩৮১ রান তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ থেমে যায় ৩৩৩ রানে। ফলে ৪৮ রানের পরাজয় মেনে নিতে হয়। আফগানিস্তানের সাথে সাত নম্বর ম্যাচে ফের জয়ের দেখা পায় মাশরাফির দল। দল জেতে ৬২ রানে। ওই জয়ের পর বাংলাদেশ সেমিফাইনালের আশায় বুক বাঁধলেও ভারতের কাছে হেরে সেই স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায়। পাকিস্তানের সাথে শেষ ম্যাচটি ছিল শুধুই নিয়ম রক্ষার ম্যাচ।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অর্জন কম নয়। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দুটি সেঞ্চুরি, চারটি হাফ সেঞ্চুরি। অভিষেক বিশ্বকাপে সাইফুদ্দিনের অলরাউন্ড নৈপুণ্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে লিটন দাসের ঝড়ো গতির ব্যাটিং, আফগানিস্তানের সাথে সাকিবের এবং ভারতের সাথে মোস্তাফিজের ৫ উইকেট প্রাপ্তি। এরকম আরো ছোটোখাটো অনেক প্রাপ্তি যোগ হয়েছে টাইগারদের হিসাবের খাতায়।
বাংলাদেশ দল এবার অনেকটাই ছিল সাকিব আল হাসান নির্ভর দল। একারণে কেউ কেউ বাংলাদেশকে ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। তবে এই বিশেষণটা মেনে নিতে পারেননি অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি দলের কারো অবদানকে খাটো করে দেখতে চাননি। এ বিষয়ে একাধিকবার তিনি বলেছেন, মুশফিক, তামিম, মিরাজ, মোসাদ্দেক, রিয়াদসহ সকলেরই কমবেশি অবদান আছে। তবে বাংলাদেশের সাফল্য ম্লান হয়ে গেছে বোলিং ও ফিল্ডিং ব্যর্থতায়। ফিল্ডিং নিয়ে আরো কাজ করার সুযোগ আছে বলে স্বীকার করেছেন দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।
এই বিশ্বকাপে বড় চমকটা আসলে দেখিয়েছেন বাংলাদেশ সমর্থকরা। ওভাল থেকে কার্ডিফ হয়ে লর্ডস পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই গ্যালারিতে ছিল লাল সবুজ পতাকার ছড়াছড়ি। বাংলাদেশ সমর্থকরা গ্যালারি মাতিয়ে রেখেছেন ঠিক ঘরের মাঠের মতোই। সমর্থকদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের দুইজন ক্রিকেটার টাইগার সমর্থকদের উল্লাস প্রকাশের ধরণ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

error: কপি হবে না!