ads

বৃহস্পতিবার , ৯ জুলাই ২০২০ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেরপুরে সেতু ও রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম ॥ তদন্ত কমিটির পরিদর্শন

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জুলাই ৯, ২০২০ ৫:২৬ অপরাহ্ণ

সওজ’এর নির্বাহী প্রকৌশলীসহ দু’জনকে বদলি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামালপুর-শেরপুর-বনগাঁও সড়কের ৭ম কিলোমিটারে শিমুলতলী সেতু ও রাস্তার নির্মাণ কাজে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম। ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ২ সদস্যের তদন্ত কমিটির টিম সরেজমিন পরিদর্শন করেন। কমিটির অপর সদস্য হচ্ছেন সড়ক বিভাগের সহকারী সচিব মাহবুব-এ-এলাহী। পরিদর্শনকালে তারা ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন শিমুলতলী সেতু এলাকা পরিদর্শন করে পাইলিংয়ের ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করেন। সেইসাথে তারা প্রায় ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন জামালপুর-শেরপুর-বনগাঁও সড়কে ব্যবহৃত সামগ্রীর নমুনাও ল্যাব পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করেন।
এদিকে ওইসব অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমদ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম আজাদকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) কাজী শাহরিয়ার হোসেন সাক্ষরিত এক পত্রে নির্বাহী প্রকৌশলীকে ফেনী জেলায় ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে মেহেরপুর জেলায় বদলি করা হয়।

Shamol Bangla Ads

জানা যায়, গত ৪ জুলাই শনিবার জামালপুর-শেরপুর-বনগাঁও সড়কে নির্মাণাধীন দু’টি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ আতিউর রহমান আতিক। ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন শেষে হুইপ আতিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোজাহার এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের অধীনে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ পরিদর্শনে গিয়ে শিমুলতলী সেতুর পাইলিং কাজে নিম্নমানের লোকাল মরা পাথর ও সাবেক রাস্তার ঢালাই উঠিয়ে সেটি দিয়ে খোয়া তৈরি করে যথেচ্ছ ব্যবহার দেখতে পেয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ সওজ বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ওইসময় তিনি ওই সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ করাসহ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে যান এবং মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী নিশ্চিত না করা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
অভিযোগ রয়েছে, ওই সেতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোজাহার এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড এর ঠিকাদার এবং শেরপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ ও সহকারী প্রকৌশলী আজাহারুল ইসলাম আজাদের এর যোগসাজসে শুরু থেকেই শিমুলতলী সেতুতে নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছিল।
এ ব্যাপারে সওজ’র উপ-সচিব মোঃ আজিজুর রহমান জানান, শিমুলতলী সেতু ও জামালপুর-শেরপুর সড়কের নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় সরেজমিন পরিদর্শনসহ সেতুর পাইলিং ও রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টের কোর কাটিংয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো ল্যাবে পাঠিয়ে গুণগত মান ঠিক আছে কিনা দেখা হবে। নিম্নমানের পাথরগুলো ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়ায় সেগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আর অনিয়মের বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। ল্যাবের পরীক্ষার ফলাফল পেলে বুঝা যাবে এখানে কতটুকু অনিয়ম হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: কপি হবে না!