মনোনয়নে ষড়যন্ত্র করে ঘুরে দাঁড়াতে বাধ্য করবেন না ॥ রুমান
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঐতিহ্যবাহী শেরপুর পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারের নির্বাচনী পথসভা ও জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে শহরের খরমপুর এলাকায় এলাকায় আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর রুমান। ওইসময় তিনি বলেন, শেরপুর পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে যোগ্যতা ও বৃহৎ এলাকার মানুষের আশা-আকাঙ্খার বাস্তবায়নে দলের পরিচ্ছন্ন, ত্যাগী ও সাহসী নেতা, বিশিষ্ট সংগঠক রফিকুল ইসলাম আধারের বিকল্প নেই। আপনারা সকলেই তার পাশে থাকবেন। তিনি দায়িত্বশীলদের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, এবারও দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্তের নামে ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে বাধ্য করবেন না।
জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু। ওইসময় তিনি বলেন, দায়িত্বশীল নেতাদের প্রভাব ও মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ না হলে যোগ্যতম প্রার্থীরও অবমূল্যায়ন হতে পারে। আর এবারও সেটা হলে সচেতন পৌরবাসী কোনভাবেই তা মেনে নিবে না।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক তাপস কুমার সাহা, সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বায়েযীদ হাছান, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাজারী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সম্রাট। ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস মোয়াজের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুবলীগ নেতা ওয়াসিম আক্রাম, কৃষকলীগ নেতা এসআরডি আলম, নিজাম উদ্দিন, ইন্দ্রজিৎ, কৃষ্ণ দে প্রমুখ। সভায় কৃষকলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান লিটন, যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলহাজ্ব খোরশেদ আলম ইয়াকুব প্রমুখ। এর আগে নতুন বাস টার্মিনাল, মীরগঞ্জ, খোয়ারপাড়, নওহাটা, তাতালপুর কালিগঞ্জ ও মোবারকপুর এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল ওই সভায় গিয়ে জড়ো হয়। এছাড়া সভা শুরুর আগে মনোনয়নপ্রত্যাশী এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা করেন।
পরে শহরের নওহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত পৃথক জনসভায় বক্তব্য রাখেন মনোনয়নপ্রত্যাশী বিশিষ্ট সংগঠক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার। ওইসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবে দলের অন্য ৪ জনের মতো আমি নিজেও মনোনয়নপ্রত্যাশী। কিন্তু প্রার্থী মনোনয়নে এবারও নানা ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যোগ্যতার অবমূল্যায়নের পাশাপাশি অবহেলিত বৃহৎ অঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্খার জলাঞ্জলি হতে পারে। তাই প্রথমতঃ আমাদেরকে মনোনয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার থাকতে হবে। এরপরও যদি সঠিক মূল্যায়ন না করা হয় তবে সকলকে নিয়ে আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তার কোনো বিকল্প থাকবে না। ওই বিষয়ে তিনি সকলের মতামত আহবান করলে উপস্থিত সকলেই দু’হাত তুলে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
প্রবীণ শিক্ষক-সমাজসেবক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে নির্বাচনী সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান মাস্টার, সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বায়েযীদ হাছান, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাজারী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ আলী মাস্টার। সমাজসেবক আলহাজ্ব নুর মামুদ, আলহাজ্ব মোঃ আতাহার আলী, ব্যাংকার মোহাম্মদ আলী, সাবেক মৎস্য কর্মকর্তা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল্লাহ।
যুবলীগ নেতা মনোয়ার হোসেন মনুর সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুলতান মাহমুদ সুজন, এডভোকেট মোঃ আক্রামুজ্জামান, কবি হারুনুর রশিদ, নাজমুল হুদা আকন্দ, সাইফুল ইসলাম আবু প্রমুখ। ওইসময় বিভিন্ন বক্তা অবহেলিত এলাকার উন্নয়নে সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এডভোকেট আধারের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
