ads

বুধবার , ১৩ মে ২০২০ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেরপুরে ভার্চুয়াল আদালতে ৬৫ মামলায় জামিন আবেদন ॥ জামিন পেলেন ৩৪ আসামি

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
মে ১৩, ২০২০ ৬:৩৪ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশের ন্যায় শেরপুরেও ভার্চুয়াল আদালতে হাজতী আসামিদের জামিন শুনানী চলছে। ১৩ মে বুধবার দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ শিশু আদালত এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ আমলী আদালতগুলোতে আবেদন পড়ে প্রায় ৬৫টি। অন্যদিকে ২ দিনে জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ শিশু আদালত ব্যতীত অন্যান্য আদালতগুলোতে শুনানী হয়েছে ৩৩টি মামলার। এর মধ্যে জামিন পেয়েছেন ৩৪ জন আসামি।
জানা যায়, ১২ মে মঙ্গলবার প্রথম দিনে জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ শিশু আদালতে কোন আবেদন না পড়লেও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন পড়ে ২ টি। সেদিনই আবেদন ২টি নিস্পত্তি করেন নবাগত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম হুমায়ুন কবীর। এতে জামিন মেলে ২ আসামির। দ্বিতীয় দিনে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৫টি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ শিশু আদালতে আবেদন পড়ে ৭টি। ওইসব আবেদনগুলো বৃহস্পতিবার শুনানীর জন্য রাখা হয়েছে। এদিন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরও ৩টি আবেদন পড়লে ৩টিই নিস্পত্তি করায় জামিন মেলে ৩ আসামির। এছাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতে ১টি আবেদন করা হলে তা মঞ্জুরক্রমে নিস্পত্তি করেন বিচারক হুমায়ুন কবীর। আর জেলার ৫টি জিআর আমলী আদালতের মধ্যে নালিতাবাড়ী আমলী আদালতের ৪টি আবেদনের মধ্যে ৩টি মঞ্জুর করেন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সুলতান মাহমুদ। আর শেরপুর সদরে ১৪টি মামলার শুনানী গ্রহণ করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানা। এতে ৯টি মামলায় ১১ জন আসামির জামিন মেলে। শ্রীবরদী আমলী আদালতে করা ৮টি আবেদনের মধ্যে ৬টি আবেদন মঞ্জুর করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল মামুন। ঝিনাইগাতীর ৩টি আবেদনের মধ্যে ৩টিই মঞ্জুর করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম খান। নকলার ৪টি আবেদনের মধ্যে ৩টি মঞ্জুর করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহসিনা হোসেন তুষি। এছাড়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও অধস্তন আদালতগুলোতে আরও অন্তত ২০টি আবেদন পেন্ডিং রয়েছে। বৃহস্পতিবারই সেগুলো শুনানীর সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার প্রথম দিনে জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ শিশু আদালতে কোন আবেদন না পড়লেও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ৫টি জিআর আমলী আদালতে আবেদন পড়ে ১৯ টি। এদিন অন্য কোন আমলী আদালতে জামিন শুনানী হয়নি।

Shamol Bangla Ads

এদিকে শেরপুরে ভার্চুয়াল আদালতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামান এবং নবাগত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম হুমায়ুন কবীর ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। সেইসাথে তাদের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সাইফুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রীয় যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে আদালতে ভার্চুয়াল শুনানীর মাধ্যমে জনকল্যাণকরভাবে বিচারপ্রার্থীদের বিচারিক সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে অধিনস্ত বিচারক, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইনজীবী ও সংশ্লিষ্টদের সাথে সমন্বয় সাধন করছেন নবাগত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম হুমায়ুন কবীর।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে নিম্ন আদালতের ভার্চুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। এ বিষয়ে ওইদিন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত সব আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছুটির সময়ে বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, বিশেষ জজ আদালতের বিচারক, সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০ এবং উচ্চ আদালতের জারিকৃত বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ অনুসরণ করে শুধু জামিন সংক্রান্ত বিষয়গুলো তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। এরপর সোমবার থেকে জামিন শুনানি শুরু হয়। প্রথমবারের মতো কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ এক আসামিকে জামিন দেন।

error: কপি হবে না!