ads

মঙ্গলবার , ২২ ডিসেম্বর ২০২০ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেরপুরে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষকরা

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ২২, ২০২০ ৭:০৬ অপরাহ্ণ

খোরশেদ আলম, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইগাতী ॥ শেরপুরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আমন ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হতে না হতেই বোরো আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন তারা।

Shamol Bangla Ads

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে জেলা সদরসহ ৫টি উপজেলায় ৯২ হাজার ৪৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিতও হয়। কিন্তু অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবমতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে জেলার কৃষকদের প্রায় ২৫ কোটি টাকা মূল্যের আমন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। আর এ ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা হিসাবে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বোরো আবাদে উৎসাহিত করা হচ্ছে কৃষকদের। ফলে আমন ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হতে না হতেই আমনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কোমর বেধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। তারা এখন বোরো ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঘনকুয়াশা আর কনকনে শীত উপেক্ষা করে চারদিকে মাঠে মাঠে চলছে এখন বোরো রোপনের ধুম। আবার কোন চলতি বোরো মৌসুমে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা সদরসহ ৫টি উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে ৯০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। তন্মধ্যে শেরপর সদর উপজেলায় ২৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর, শ্রীবরদীতে ২৬ হাজার ৮০৭ হেক্টর, ঝিনাইগাতীতে ২৩ হাজার ১৬২ হেক্টর, নালিতাবাড়ীতে ২২ হাজার ৭৫১ হেক্টর ও নকলায় ১৩ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমি রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর বোরো আবাদের লক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতিও গ্রহন করেছে। জানা গেছে, বোরো আবাদে সেচ সংকট দূরীকরণের লক্ষ্যে ৪ টি রাবারড্যাম প্রস্তুত রয়েছে। রয়েছে ৩০৫ টি গভীর নলকূপ। তন্মধ্যে ডিজেল চালিত ৪১টি,আর বিদ্যুৎচালিত ২৬৪ টি। অগভীর নলকূপ রয়েছে ১৮ হাজার ৫৯৫টি, তন্মধ্যে ডিজেল চালিত ১২হাজার ৩৩৭ টি, বিদ্যুৎ চালিত ৬ হাজার ২৫৮ টি। এলএলপি ২৭৭টি , তন্মধ্যে ডিজেল চালিত ১৬৬টি, বিদ্যুৎ চালিত ১১১ টি। কৃষকদের সার,বীজও কীটনাশকের যোগান দিতে বিসিআইসি৳’র ডিলার রয়েছে ৫৯ জন। বিএডিসি’র১২৫ জন। খুচরা বিক্রেতা ৪৫৭ জন। বিএডিসি বীজ ডিলার ১৫৮ জন। কীট নাশক ডিলার পাইকারি ২৮ জন ও খুচরা ৯৯২ জন।এ ছাড়া পাওয়ার টিলারসহ অন্যান্য পর্যাপ্ত কৃষি যন্ত্রপাতি রয়েছে। খাদ্যে উদ্বিত্ত্ব এ জেলায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের হিসাব মতে খাদ্য গ্রহনকারির সংখ্যা ২৫ লাখ। চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যের প্রয়োজন ২ লাখ ৪৮ হাজার ২৬৪ মেট্রিকটন।স্হানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিকটন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ির উপ পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে বলেন, টেকসই ও লাভজনক ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও ফলপ্রসূ বিকেন্দ্রীকৃত এলাকা নির্ভর চাহিদাভিত্তিক ও সমন্বিত কৃষি সেবা প্রদানের মাধ্যমে সকল কৃষকদের প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিকরণে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ১৩৬জন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের। তিনি বলেন প্রস্তুতি অনুযায়ী বোরো আবাদ হবে। সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারলে বোরো মৌসুমে আশানুরূপ ফলন ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা।

error: কপি হবে না!