ads

বৃহস্পতিবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেরপুরে বার নির্বাচনে নেই উত্তাপ ॥ কে হচ্ছেন আ’লীগ-বিএনপির প্রার্থী?

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯ ৯:১৮ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ঐতিহ্যবাহী শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও এখনও নিরুত্তাপ বার ও আদালত অঙ্গণ। সেইসাথে এখনও চূড়ান্ত হয়নি আওয়ামী লীগ ও সমমনাদের সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ এবং বিএনপি ও সমমনাদের সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরামের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।
জানা যায়, বুদ্ধিজীবী ও সচেতন মহলের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের বার্ষিক নির্বাচন প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পূর্বেই বিশেষ করে বছরের প্রথম দিক থেকেই শুরু হয় ওই নির্বাচনের হাওয়া। সেইসাথে তৎপর থাকেন দু’বলয়ের সম্ভাব্য সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা। কিন্তু এবারই প্রথম ওই নির্বাচনে ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেবল তাই নয়, এখনও ঘোষিত হয়নি নির্বাচনী তফসিল। তবে ওই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র হোড় জানান, এখনও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় সেটি তাদের হাতে পাওয়া সম্ভব হয়নি। ১৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে ভোটার হওয়ার সময়সীমা। আর ভোটার তালিকা চূড়ান্ত ও হস্তান্তরের পর ১৬ বা ১৭ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
এদিকে ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরামের প্রার্থী বাছাইয়ের কোন সভাও হয়নি। ওই দু’বলয়ের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্ব-স্ব বলয়ের সভা করে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। তবে সমন্বয় পরিষদে সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী হিসেবে বিদায়ী সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, সাবেক সভাপতি এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি ও এডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসীর নাম শোনা যাচ্ছে। বারের নির্বাচনের রেওয়াজ অনুযায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অংশ নিয়ে কোন প্রার্থী নির্বাচিত হলে বা পরাজিত হলে পরবর্তী নির্বাচনে স্বেচ্ছায় সরে না দাঁড়ালে তিনিই প্রার্থী হয়ে থাকেন। সে অনুযায়ী, এবার বিদায়ী সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার তার মেয়াদকালে আইনজীবীদের ঐক্য প্রতিষ্ঠা, বার-বেঞ্চের মধ্যে সু-সম্পর্ক স্থাপনসহ কলুষমুক্ত বিচারঅঙ্গণ প্রতিষ্ঠা এবং আইনজীবীদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত সিজেএম ভবন নির্মাণে কার্যকর ও সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তিনিই প্রার্থী হচ্ছেন- সেটাই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু তার সেই সম্ভাবনায় বাধ সেঁধেছে আওয়ামী লীগের গ্রুপিং আর রাজনীতির গ্যাঁড়াকল। ফলে আইনজীবীদের বাইরের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নির্দেশনার কারণে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তার প্রার্থিতা। তবে তাতেও মাঠ ছাড়েননি তিনি। আলোচনা-গুঞ্জনে রয়েছেন এগিয়ে। আর তার বিকল্প হিসেবে সাবেক সভাপতি এডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী বেশ কিছুদিন থেকেই প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ এবং উপর মহলের আশির্বাদ আদায়ে তৎপর থাকলেও তার সময়কালে বিচার অঙ্গণের পরিস্থিতি ও বার-বেঞ্চের মধ্যকার দূরত্বসহ নানা কারণে হঠাৎ করেই চলে আসে সাবেক সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট চন্দন কুমার পালের নাম। যদিও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত থেকে বারের মতো একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে দায়িত্ব পালন অনেকটা অসামঞ্জস্য ও দূরূহ তারপরও তার নাম চলে আসার পর অনেকটাই চুপসে যান অপর ২ সম্ভাব্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম আধার ও মোছাদ্দেক ফেরদৌসী। দলীয় অঙ্গণ ছাপিয়ে বিপরীত অঙ্গণেও গুঞ্জন উঠে এডভোকেট চন্দন কুমার পালকে সভাপতি পদে ছাড় দিতে। কিন্তু বৃহস্পতিবার আইনজীবীদের অঙ্গণে ছড়িয়ে পড়ে তার প্রার্থী না হওয়ার কথা। তবে তাকে বলয়ের সভাপতি প্রার্থী করা হলে অপর ২ সম্ভাব্য প্রার্থীকে নিবৃত করা যতোটা সহজ হবে, তিনি সরে দাঁড়ালে অপর ২ জনের কাউকেই নিবৃত করা একেবারেই দূরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে। দলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের দাবি, এখনও এডভোকেট চন্দন কুমার পালের ‘চমক’ দেখানোর সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। এছাড়া সমন্বয় পরিষদে সাধারণ সম্পাদক পদে গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এডভোকেট তারিকুল ইসলাম ভাসানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবুল মানসুর স্বপন, বিদায়ী সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইসমাইল হোসেন, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মুন্না ও এডভোকেট ফারহানা পারভীন মুন্নীসহ সাবেক অডিটর এডভোকেট শাহীদ উল্লাহ শাহীর নাম শোনা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বলয়ের সভাপতি প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার উপর নির্ভর করবে শক্তিশালী প্রার্থী এডভোকেট তারিকুল ইসলাম ভাসানীর মনোনয়ন পাওয়া-না পাওয়া।
অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরাম থেকে সভাপতি পদে সাবেক সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এডভোকেট তৌহিদুর রহমান ও গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এডভোকেট মিজানুর রহমানের নাম মৃদু শোনা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী দলের বিধ্বস্ত অবস্থায় শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত সিরাজুল ইসলাম ও তৌহিদুর রহমান নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনেকটা নিরুৎসাহ হলেও আগ্রহ রয়েছে মিজানুর রহমানের। তবে এ বলয়ে সভাপতি প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়াটা নির্ভর করবে অনেকটা সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার উপর। সেক্ষেত্রে ওই ৩ জনের বাইরেও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামানও সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন। এছাড়া এ বলয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামান, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুন্সী মোঃ মহসীন ও এডভোকেট আশরাফুল আলম লিচুর নাম শোনা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বলয়ের সভাপতি প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার উপর নির্ভর করবে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম রকীবের মনোনয়ন পাওয়া-না পাওয়া। তবে মাঠে চাওর হয়েছে, এ বলয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে শক্তিশালী প্রার্থী এমকে মুরাদুজ্জামানই লড়তে পারেন।
উভয় বলয়ে অন্যান্য পদে প্রার্থীদের তৎপরতা বা নাম খুব একটা আলোচনায় নেই বললেই চলে। তবে স্বল্প কয়েকদিনের জন্য হলেও তফসিল ঘোষণা ও মনোনয়নপত্র দাখিলের সাথে সাথেই জমে উঠবে ওই নির্বাচনের আমেজ।

error: কপি হবে না!