ads

বুধবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ভাষা আন্দোলনের চেতনা জাগ্রত হোক প্রাণে প্রাণে

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬ ১২:০৩ অপরাহ্ণ

Editorial-2আমরি বাংলা মায়ের অন্তঃস্থ ভাষার যে গৌরব, ‘অমর একুশে ফেব্রুয়ারি’ উপলক্ষে তা আমরা আমাদের পাঠক, লেখক, শুভানুধ্যায়ীসহ বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরের বাংলা ভাষাভাষী সকল জনগোষ্ঠির সাথে আজ ভাগাভাগি করে নিতে চাই। আজ রাঙা পলাশে শহীদ স্মরণের দিন অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহীদ দিবস। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার দাবিতে ছাত্র-তরুণরা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন ঢাকার রাজপথে। সেই থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি অমর শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’ এই হচ্ছে মহান একুশের চেতনা। আমরা এই চেতনায় ক্রমেই হয়েছি শাণিত এবং এর সড়ক ধরেই অর্জন করেছি আমাদের স্বাধীনতা।
আত্মমর্যাদায় সমুন্নত এক মহান জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অন্তহীন প্রেরণা হলো একুশে ফেব্রুয়ারি। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদদের আত্মত্যাগে উজ্জ্বল একটি দিন। এই দিনটি বাঙালি জাতিকে বিশেষভাবে পরিচিত করে দেয় ঐক্যবদ্ধ একটি জাতি হিসেবে। সে দিনের ভাষার লড়াই আমাদের মাতৃভাষার মর্যাদা যেমন রা করেছিল, তেমনি রচনা করেছিল আমাদের স্বাধীনতার পথও। একুশ থেকেই আমরা পাই গণতন্ত্রের চেতনা, পাই সাম্যের চেতনা। একুশ আমাদের শিখিয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে। একুশের চেতনা যেমন সমানাধিকারের চেতনা, তেমনি একুশের চেতনা মানে অসাম্প্রদায়িকতার চেতনা। আমাদের আত্মপরিচয় খুঁজে পাওয়ার দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। সেদিন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা কেড়ে নিতে চেয়েছিল আমাদের মুখের ভাষা, মায়ের ভাষা। কিন্তু মায়ের মর্যাদা এতটুকু ুণœ হতে দেননি ভাষাসৈনিকরা। অনেকের রক্ত ও আত্মত্যাগ বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে তীব্রতর করেছিল। এ আন্দোলনের ফলেই বাংলা ভাষা লাভ করেছিল অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির পরের দিনই গড়ে তোলা হয়েছিল শহীদ মিনার। সেই থেকে শহীদ মিনারে প্রভাতফেরির মাধ্যমে ফুল দিয়ে শহীদদের অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং অত্যন্ত আশা এবং শক্তি জাগানিয়া কথা হলো, ক্রমেই শহীদ মিনারমুখী মানুষের সংখ্যাচিত্র স্ফীত হচ্ছে। অন্ধকার দূরের েেত্র এ এক অপরিসীম প্রেরণা সঞ্চারী শক্তি। বাঙালির প্রথম অর্জন একুশ। এই অর্জনের জন্য বাঙালিকে দিতে হয়েছিল রক্ত মূল্য। সেই অমর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতেই পুষ্পস্তবক অর্পণ। আমরা অত্যন্ত গর্বভরে দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে পারি, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি হচ্ছে বাঙালির আত্মপরিচয়ের দিন। প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে শহীদ দিবস হিসেবে। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব দিনটি পালন করছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও।
দুঃখজনক হলেও সত্য, মাতৃভাষার চর্চা ও বিকাশের েেত্র আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি, যা ভাষা আন্দোলনের চেতনার সঙ্গেও সংগতিপূর্ণ নয়। আদেশ-নির্দেশ দিয়ে সেটি করা সম্ভব বলেও অনেকে মনে করে না। এ জন্য প্রত্যেকের ব্যক্তিগত উপলব্ধিকে শাণিত করতে হবে, পরিভাষা, অভিধানসহ সম্ভাব্য সব উপকরণ সহজলভ্য করার মাধ্যমে ভাষাচর্চার পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং বিজাতীয় মনমানসিকতা থেকে বিনা প্রয়োজনে বিদেশি ভাষা ব্যবহারের অপচেষ্টাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। পৃথিবীতে মাতৃভাষার সম্মান রার জন্য আত্মাহুতি দেওয়ার ঘটনা বিরল। এ জন্য জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। সেই গর্ব, সেই অহংকার নিয়ে বাংলা ও বাঙালির ভাষিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও কৃষ্টিকে এগিয়ে নেওয়ার সার্বণিক চেষ্টাই করতে হবে আমাদের। আর তার মাধ্যমেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করা সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

error: কপি হবে না!