ads

শনিবার , ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদী মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাহ’র নির্যাতন-কারাভোগের স্মৃতিচারণ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০ ১:০৫ অপরাহ্ণ

জীবনের ফেলে আসা অনেক স্মৃতি আজ চোখের সামনে ভিড় জমিয়েছে। হাসি-কান্না,আনন্দ -বেদনা, দুঃখ -যন্ত্রণায় ভরপুর আমার স্মৃতিময় দিনগুলো।আমার যৌবনের সোনালী দিনগুলো কেটেছে আন্দোলন, সংগ্রাম,যুদ্ধ আর কারাগারের অভ্যন্তরে। ১৯৭১সালে যুদ্ধ থেকে ফিরে আবার সক্রিয় ভাবে ছাত্র লীগের রাজনীতি শুরু করি।১৯৭২সালে নকলা থানা ছাত্র লীগের সভাপতি জনাব মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ রফিকুল আলম এবং আমি সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই। পরবর্তীতে মোস্তা ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে ভর্তি হয়ে বিভাগের ভি পি নির্বাচিত হন এবং রফিক ভাই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্র লীগের নেতৃত্ব করেন।
১৯৭৪ সালের শেষ দিকে নকলা থানা ছাত্র লীগের আহবায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করি। নকলা থানা ছিলো জামালপুর মহুকুমার অধীন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।আমি তখন ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে ইন্টারমেডিয়েটের ফাইনাল পরীক্ষার্থী। ১৯৭১ সালের মতো আবার বই, খাতা, কলম টেবিলের উপর রেখে বন্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে এক কাপড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম।গারো পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার সশস্ত্র প্রতিবাদ করেছিলাম। খুনি জিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে ১৯৭৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হয়েছিলাম।
অনেক মানুষের জীবনে অনেক ধরনের স্মৃতি থাকে। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর আমার জীবনের একটি স্মরণীয় দিন। যে দিনটি আমার জীবনের গতি পথ পরিবর্তন করে দিয়েছে। আজ থেকে ৪৪ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৭৬ সালের এই দিনে শেরপুর সদর উপজেলার চান্দের নগর গ্রামে প্রায় শ’ দুই আর্মি, পুলিশ ঘেরাও দিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় আমাকে গ্রেপ্তারকরে। দেখতে দেখতে ৪৪ বছর চলে গেছে। জেলে বসে যে ডাইরি লিখেছিলাম তার থেকেই সংক্ষেপে দু’ টি কথা লিখে স্মৃতি চারণ করবো।
“১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ সাল।ষড় ঋতুর এই দেশে তখন শরৎ কাল।শরতের স্নিগ্ধ সকাল। সূর্য তখনও উঠেনি। শেরপুর সদর থানার চান্দের নগর গ্রামের এক দরিদ্র কৃষকের কুঁড়ে ঘরে আমি একা তখনও ঘুমে বিভোর। সারা রাতের পথ চলায় ক্লান্তিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল দেহ- মন।কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানি না।চৌকিতে বিছানো ছেড়াঁ কাঁথা।আমার বাম পাশে কাঁথার নীচে একটি G-3 রাইফেল, একটি 9 M M পিস্তল, দুটো হ্যান্ড গ্রেনেড,কিছু গুলি, কিছু বাংলার ডাক পত্রিকা, কয়টা ম্যাগজিন।”

Shamol Bangla Ads

ডাইরির সব কথা লিখতে গেলে একটা বই হয়ে যাবে। আমাকে গ্রেপ্তারের পর আমি পালিয়ে গিয়েছিলাম। আবার ধরে প্রথমেই রাইফেলের বাট দিয়ে তলপেটে সজোরে একটা আঘাত করে। সেই আঘাত আমার পেনিসের উপরে ডান পাশে লাগে। আমি চিৎকার করে উঠলাম। ওরা অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করছিলো।একটা লাঠি দিয়ে পিঠে পায়ে পিটালো। কিছু ক্ষনের মধ্যে পেনিস ফুলে যন্ত্রণা হচ্ছিল। চোখ, হাত বেধে দু’জন সিপাহী দুই পাশে ধরে হেটে নকলা – শেরপুরের মূল রাস্তায় রাখা গাড়িতে উঠিয়ে ওদের ক্যাম্পে নিয়ে গেলো।শেরপুর থানার তদানিন্তন C.O.অফিসে আর্মিদের ক্যাম্প ছিলো। সেখানে একটা বিল্ডিংয়ের দো’তলায় একটা রুমে নিয়ে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিয়ে অন্য আরেকটি রুমে নিয়ে হাত চোখ খুলে দিয়ে বাইরে দিয়ে তালা লাগিয়ে দিল। ধীরে ধীরে ব্যথাটা কমে আসলো।
প্রায় ঘন্টা খানিক পরে একজন ক্যাপ্টেনএলো।পাশের রুমে নিয়ে মেঝেতে বসালো। আমি দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে বসলাম। আমাকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলো।তাদের মতো করে উত্তর না পেয়ে আমার বুকে একটা লাথি মারলো। আমার দম বন্ধ হবার অবস্থা। আমি মেঝেতে পড়ে গেলাম। আবার উঠিয়ে বসালো। এবার হাতের বেতটা দিয়ে ৪/৫ টা পিটুনি দিলো।আবার আগের রুমে নিয়ে তালা লাগিয়ে দিল।
বিকালে মেজর হাবিব নামে একজন অফিসার এলো।আমাকে তার সামনে হাজির করলো।প্রথমেই আমার নাম জিজ্ঞেস করলে আমার নাম বললাম “শফিকুল ইসলাম মিলন।” এর মধ্যে জামালপুর থেকে S.D.P.O.রশিদ সাহেব এসে মেজর হাবিব কে সেলিউট করে আমার দিকে তাকিয়ে বললো “জিন্নাহ মিয়া, আপনি? ” মেজর হাবিব একটা চেয়ারে বসা ছিলো “জিন্নাহ ” নামটা শুনে লাফ দিয়ে দাঁড়িয়েই বললো”তুই-ই জিন্নাহ?তোর নামই জিন্নাহ? “আমি মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকলাম। মেজর হাবিব উচ্চতায় প্রায় ছয় ফুট।। সে আমাকে ঠাস করে একটা চড় মেরে বললো ” মিথ্যা কথা বললি কেন,সেন্টি ওকে নিয়ে যাও।”রশিদ সাহেব একটা কথা বলেছিলেন “স্যার ওর ফ্যামিলিকে আমি চিনি, খুব ভালো লোক।” আমার দিকে তাকিয়ে বললেন “কেন এই পথে এসে জীবনটা নষ্ট করলেন “মেজর হাবিবের কথায় বুঝলাম আমার নামে তাদের কাছে অনেক অভিযোগ জমা হয়ে আছে। সেন্টি আমাকে আবার পূর্বের রুমে নিয়ে গেলো।রোজার দিন ছিলো। আমি রোজা ছিলাম না। ক্ষুধা আর পানি পিপাসায় পেটটা চু-চু করছিলো।কিছু ক্ষন পরেই ইফতার এলো।আমি আযানের আগেই খেয়ে ফেললাম।
এভাবে লিখলে লিখার কলেবর বৃদ্ধি পাবে, তাই সংক্ষিপ্ত করতে চাই। ১৮ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৮ বছর কারাগারে ছিলাম। ১৮,১৯ তারিখ শেরপুর আর্মি ক্যাম্পে রেখে নির্যাতন করে ২০ সেপ্টেম্বর সকাল১০ টায় জামালপুর আর্মি ক্যাম্পে পাঠিয়ে দয়।জামালপুর ভোকেশনাল টেট্রেনিংইনস্টিটিউটশন আর্মিদের ক্যাম্প ছিলো। এই খানে একজন কর্নেলের রুমে আমাকে পাঠায়।কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের মতো উত্তর না পেয়ে আমাকে দুজন সিপাই আমার পায়ে রশি দিয়ে বেধে ফেলে। এরপর কপি কলের সাহায্যে টেনে টেনে আমাকে উপরের দিকে তুলে।আমার পা উপরের দিকে আর মুখ নীচের দিকে। ঝুলন্ত অবস্থায় বেত দিয়ে পিটাচ্ছিলো। কিছু ক্ষনের মধ্যে আমার নাকে মুখে রক্ত এসে গেলো।তার পরে নীচে নামানো হলো। আবার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু। এরপর আবার হাতের বেত দিয়ে পিটালো।
২১ সেপ্টেম্বর সকালে জামালপুর থেকে টাঙ্গাইল আর্মি ক্যাম্পে পাঠায়।এই টাঙ্গাইল আর্মি ক্যাম্পে আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন হয়েছিল। যা এই পরিসরে লিখে শেষ করা যাবে না।শুধু এই টুকু বলি কারেন্টের মোটা তার গুলো দিয়ে পিটিয়ে সারা শরীর রক্তাক্ত করেছিলো। শরীর থেকে ঝির ঝির করে রক্ত ঝরছিল – আর ঐ ক্ষত স্হানে ঔষধের কথা বলে লবন লাগিয়ে দিয়ে ছিল। আমার চিৎকারে মনে হচ্ছিল বিল্ডিং – এর দেয়াল ফেটে যাচ্ছে। আর আমার আত্মাটা বের হয়ে যাচ্ছে।এই টাঙ্গাইল ক্যাম্পে কারেন্টের শক্ দেওয়া হয়ে ছিলো। কপিকলে ঝুলিয়ে বেত আর মোটা ক্যাবল দিয়ে পিটিয়েছে।আমার শরীর ফুলে গিয়ে জ্বর এসে গিয়ে ছিলো। আমার ডান পা টা একটা ইটের উপর রেখে আরেকটা ইট যখন আঘাত করতে যাচ্ছে তখন পা টা টান দিতেই বৃদ্ধাঙ্গুলিতে লেগে নখটা থেতলে যায়।যার দাগ এখনো বহন করে চলেছি। ২১ও২২ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলে রেখে যে নির্যাতন করেছে তা আমার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মনে থাকবে।
২১ ও২২ তারিখ টাঙ্গাইল ক্যাম্পে রেখে নির্যাতন করে ২৩ সেপ্টেম্বর চোখ বেধে দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে পাঠিয়ে দেয়। ঢাকা সেনানিবাসের তখনকার D.F.I. এতে রাখা হয়।যেখানে রাখা হলো সেই স্হানটা এমন ছিল যে, সূর্যের আলো প্রবেশের কোন সুযোগ ছিলো না।১৯৭৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৭৭ সালের ১৫ এপ্রিল -এই দীর্ঘ সময় অর্থাৎ ৬ মাস২৩ দিন পৃথিবীতে সূর্য উঠে, সূর্য আলো দেয়, সূর্য অস্ত যায় তা দেখিনি। প্রায় ৩ মাস বুক নীচের দিকে দিয়ে পিঠ উপুর করে ঘুমিয়েছি।৪৫ দিন আমার মাথার উপর ২০ ঘন্টা করে এক হাজার পাওয়ারের বাল্ব জ্বালানো থাকতো। আমার মা – বাবা পরিবার জানতো না আমি বেঁচে আছি না মরে গেছি।
১৯৭৭ সালের ১৫ এপ্রিল আমাকে পুলিশের S.B.-এর কাছে আমাকে হস্তান্তর করে। শাহাবাগ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে এক রাত রেখে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে ১৬ এপ্রিল বিকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে মনে হলো নতুন জীবন পেলাম।
১৯৭৭ সালের অক্টোবরের ২ তারিখ জাপান এয়ারলাইনসের একটি বিমান ছিনতাই এর ঘটনায় খুনী জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে এক ব্যর্থ সামরিক কু্্য হয়।
সেই সময় জিয়া শত শত আর্মি, বিমান বাহিনীর অফিসার, সৈনিক দের বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। ঐ সময় ঢাকা জেল খালি করতে বিভিন্ন বন্দীদের বিভিন্ন জেলে পাঠায়।৭ অক্টোবর আমাকে সহ প্রায় ৪০ জন বন্দী বরিশাল জেলে পাঠায়। সেখানে বন্দীদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করার কারণে ‘৭৮ এর ৬ জুলাই বরিশাল জেল থেকে যশোর জেলে পাঠায়। আমার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ ১০ নম্বর সামরিক আদালতে সরকার বিরোধী মামলা ছিল। সেই কারণে ১৯৭৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেল থেকে ময়মনসিংহ জেলে নিয়ে।
১৯৭৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী ময়মনসিংহ ১০ নম্বর সামরিক আদালতে M.L.R.- 10 ও M.L.R-17 এই দুই ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হশ। এই সাজা মাথায় নিয়ে ময়মনসিংহ জেলে সময়টা ভালই কাটছিল।১৯৮০ সালের মার্চ মাসে আমরা জেলের বন্দীদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন শুরু করলাম। এক পর্যায়ে আমরন অনশন শুরু করি।আট দিনের দিন আমাদের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। এরপর সেই সময়ের দশ দলীয় ঐক্য জোটের জেলার নেতাদের আহবানে আমরা সন্ধ্যায় অনশন প্রত্যাহার করি।
১৯৮০ সালের নভেম্বরের ১৫ তারিখে শেরপুর থেকে আতিক সাহেব,চন্দন বাবু ও শ্রীবরদীর মতিন এলো ময়মনসিংহ জেলে। তাদের রাখা হলো নিউ সেলে।সেখানে যাতে খাবারের কষ্ট না হয় তার ব্যবস্হা আমি জেল কর্তৃপক্ষ বলে করিয়েছিলাম। এরপর নভেম্বরের ২৭ তারিখে হঠাৎ করে সকাল বেলা ৫০/৬০ জন জেল পুলিশ নিয়ে জেলার, ডেপুটি জেলার আমার রুমের সামনে হাজীর। বলতে গেলে এক রকম জোর করেই আমাকে ঢাকা জেলে পাঠিয়ে দিলো।ঢাকা জেলে প্রথমে১৪ সেলে পরে নিউ জেলে যেখানে জাতীয় চার নেতাদেরকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে স্হান হলো।
১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে আমার মেরুদণ্ডের হাড়ে টিবি ( যক্ষা) ধরা পড়লো।দীর্ঘ চিকিৎসার পর রোগটা ভালো হলো।১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল এরশা ক্ষমতা দখল করে সামরিক জারী করে। চিকিৎসাধীন
অবস্হায় আমাকে ৮২ সালের ৩০ আগষ্ট সন্ধ্যায় ঢাকা জেল থেকে বদলির আদেশ আসে।এবার আমার গন্তব্য সিলেট জেল।৩০ আগষ্ট রাতের ট্রেনে পুলিশ পাহাড়ায় সিলেটের উদ্দেশ্য রওনা করি।৩১ আগস্ট সকালে সিলেট জেলে পৌঁছি।এখানের সময়টা খুব কষ্টে কেটেছে। ১৯৮৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হঠ্যাৎ ময়মনসিংহ জেলে পাঠানোর আদেশ এলো।অবশ্য এর জন্য আমাকে করাতে হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর রাতের ট্রেনে সিলেট থেকে পুলিশ পাহারায় রওনা করি। ময়মনসিংহ জেলে পৌঁছি ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায়
ময়মনসিংহ জেলে পৌঁছি।এই জেলে আমাকে পুরাতন সেলে রাখলেও জেলখানা আমার খুব পরিচিত। ১৯৮৪ সালে আওয়ামী লীগের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় আমাদের অনেক রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের এরশাদ মুক্তি দিতে বাধ্য হয়ে ছিল।আমি দীর্ঘ প্রায় আট বছর সময় ক্যান্টনমেন্ট এবং কারাগারে অমানুষিক নির্যাতন ভোগ করে ১৯৮৪ সালের ১৬ এপ্রিল বিকাল ৪ টায় ময়মনসিংহ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করি।

লেখক : সাধারণ সম্পাদক, নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগ, শেরপুর।

error: কপি হবে না!