ads

রবিবার , ২১ জুন ২০২০ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জুন ২১, ২০২০ ১:২৬ অপরাহ্ণ

মনজুরুল আহসান বুলবুল

আমাদের সকল সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৗরবগাথা ইতিহাসেই স্বীকৃত। বয়সের হিসাব দেখলেও দেখি, শেখ মুজিব আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ চলা প্রায় হাত ধরাধরি করেই। ২০২০ সাল পালিত হচ্ছে মুজিববর্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ হিসেবে, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পালিত হবে ২০২১ সালে, আগামী বছর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব স্বকীয়তায় গড়ে ওঠা দুটি প্রতিষ্ঠান।
১৯৭৫ সালে আগস্টের কালরাতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে। সিনেট অধিবেশনে কয়েকজন সাহসী তরুণ ওই হত্যাকান্ডের নিন্দা জানিয়েছিলেন। পাশবিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তারা সোচ্চার হয়েছিলেন। হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করে প্রস্তাব নেয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানগতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সিনেট এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছিল সেই কঠিন দুঃসময়ে।
সেই ঘটনার ৪৫ বছর পর; আবার ইতিহাস সৃষ্টি করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সিনেট। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে, হচ্ছে। তাঁর নিজের লেখা এবং তাঁকে নিয়ে নানা প্রকাশনা বঙ্গবন্ধুর নানা দিক্ উন্মোচন করছে। গবেষণাও হয়েছে অনেক কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বিস্তৃত জীবন নিয়ে গবেষণার কোন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ছিল না। অনেক গবেষণার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিও নেই।
এই প্রেক্ষাপটেই গত ১৪ জুন, ২০২০, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এ্যান্ড লিবার্টি’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে। এই সিনেট অধিবেশন ছিল পূর্ণাঙ্গ। সিনেটের সকল ক্যাটাগরির প্রতিনিধিগণ অংশ নেন এতে এবং সর্বসম্মতভাবে সমর্থনের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট প্রস্তাবিত আঠারতম সংবিধি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে সংযোজিত হয়। এখন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এ্যান্ড লিবার্টি’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা শুধু সময়ের ব্যাপার।
এ জন্য পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ সময় ও পথ। কিন্তু পুরো পথে উপাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, সিন্ডিকেট এবং সিনেট, একাডেমিক পরিষদ, ডিনস কমিটি পালন করেছে ঐতিহাসিক ভূমিকা। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
মূল প্রস্তাব : এই পথ পরিক্রমায় দেখতে পাই ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এ্যান্ড লিবার্টি’ প্রতিষ্ঠার প্রথম প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয় ২০১৯ সালের ২৬ জুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন-২০১৯, কার্যবিবরণীতে [বুধবার ২৬ জুন ২৯১৯, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০১৯] দেখা যাচ্ছে; সিনেট সদস্য এ.আর এম মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রস্তাব উপস্থাপন করে বলছেন : ‘আমার একটা প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে আছে। আমি মনে করি [বঙ্গবন্ধুর] জন্মশতবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি কাজ করুক যেটি অন্তত আগামী একশ’ বছর বঙ্গবন্ধুর চেতনাটি জ্বালিয়ে রাখবে। আমার প্রস্তাব আমি লিখিতভাবেও জমা দিয়েছি। সেটি পাঠ করছি আবার : আগামী ২০২০ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এ্যান্ড লিবার্টি’: জন্মশতবার্ষিকী স্মারক নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হোক।’ [ কার্যবিবরণীর পৃষ্ঠা: ৮৭]। এই প্রস্তাবনার পক্ষে প্রস্তাবক তার নিজস্ব পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। প্রস্তাবটি বিপুল করতালির মাধ্যমে সিনেট অধিবেশনে গৃহীত হয়।
সংবিধি তৈরির উদ্যোগ : বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক ধাপ অতিক্রম করতে হয়। প্রথমেই আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর অধীনে সংবিধি সংযোজনের বিষয়টি। এই প্রক্রিয়ায় পৌঁছতে অতিক্রম করতে হয় অনেক ধাপ। সিনেটে ২৬ জুন, ২০১৯ তারিখের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে ডিনস কমিটির ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখের সুপারিশ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এ্যান্ড লিবার্টি’ নামে একটি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২৮ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে একাডেমিক পরিষদের সভায় উক্ত গবেষণা ইনস্টিটিউট অনুসমর্থিত হয়। ১৮তম সংবিধি সংযোজনের সংবিধি তৈরি করতে একটি কমিটি করা হয়। এই কমিটিতে ছিলেন : উপ-উপাচার্য ড. নাসরীন আহমাদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোঃ রহমত উল্লাহ, আর্থ ও এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক এ, কে, এম শামসুজ্জামান খান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া। এই কমিটি দীর্ঘ সময় ধরে মূল প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে সংবিধি তৈরি করেন।
আবার সিন্ডিকেট সভায় : এই সংবিধি অনমোদনের জন্য ১০ জুন ২০২০, সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হয়। এই সভাতেও সংবিধি অনুমোদন করে সিনেট সভায় অনুসমর্থনের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সিন্ডিকেট মন্তব্য করে : এই ইনস্টিটিউট প্রকৃত অর্থে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রীর গবেষণার জন্য গড়ে উঠবে আমার এ আশা ব্যক্ত করি।
সিনেট অনু সমর্থন : ১৪ জুন ২০২০, এই কোভিড দর্যোগের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন-২০২০ অনুষ্ঠিত হয়। সিনেটের সকল ক্যাটাগরির প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেন। সভার ৫ নং কার্যসূচীতে সিন্ডিকেটের প্রস্তাব পেশ করা হলে সর্বসম্মতভাবে তা পাস হয়। সিন্ডিকেট প্রস্তাবিত আঠারোতম সংবিধি সংযোজন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩-এর অধীনে। প্রায় এক বছর পর একটি স্বপ্ন পূর্ণতা পায়। দৃশ্যমান হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এ্যান্ড লিবার্টি’, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার একমাত্র প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু জন্মশত বার্ষিকীতে এই প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নিয়ে আবারও ইতিহাসের অংশ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এ্যান্ড লিবার্টি কি করবে গৃহীত সংবিধিতে তার পুরো বিবরণ আছে অনেক অধ্যায় জুড়ে। আমি শুধু চুম্বক অংশগুলো তুলে ধরছি :
সূচনাতেই বলা হয়েছে : যেহেতু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীকে স্মরণকালের অর্জন হিসেবে তাঁর জীবন, আদর্শ, দর্শন, রাজনীতি, সমাজনীতি এবং বাঙালী জাতির পরাশক্তির হাত হতে মুক্তি লাভ ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাঁর স্মরণকালের অবদান চর্চায়, প্রচারণায় এবং দেশ গঠনের রাষ্ট্র-দর্শন, রাষ্ট্র পরিচালনার প্রত্যেক স্তরে বাস্তবায়নের দিক নির্দেশনার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এ্যান্ড লিবার্টি’ প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবং যেহেতু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২৬ জুন, ২০১৯ তারিখের প্রস্তাব ও ডিনস কমিটির ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখের সুপারিশ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এ্যান্ড লিবার্টি’ নামে একটি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে ২৮ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে একাডেমিক পরিষদের সভায় উক্ত গবেষণা ইনস্টিটিউট অনুসমর্থিত হয়;

Shamol Bangla Ads

যেহেতু ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এ্যান্ড লিবার্টি’ প্রতিষ্ঠা করার জন্য উহার সংবিধি প্রণয়ন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু, Dhaka University Order, 1973 (President’s Order No. 11 of 1973) এর Article 4 এর clause (j) ,

Shamol Bangla Ads

Article ৩38 এর clause (e) এর সহিত পঠিতব্য, এ ক্ষমতাবলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় GYদ্বারা নিম্নরূপ সংবিধি প্রণয়ন করিল:

১। সংবিধির নাম :

(১) এই সংবিধি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এ্যান্ড লিবার্টি সংবিধি (The Statutes of Bangabandhu Sheikh Mujib Research Institute for Peace and Liberty) নামে অভিহিত হবে।

(২) ইহা সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদনের দিন হইতে কার্যকর হবে।

এর পর সংজ্ঞা, সংবিধি, এখতিয়ার বর্ণনার পর বলা হচ্ছে:

৪। ইনস্টিটিউট স্থাপন :

(১) এই সংবিধির বিধান অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এ্যান্ড লিবার্টি

(Bangabandhu Sheikh Mujib Research Institute for Peace and Liberty) নামে একটি ইনস্টিটিউট স্থাপিত হবে।

(২) এই ইনস্টিটিউট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর অধীনে এবং স্বীয় সংবিধি দ্বারা পরিচালিত হবে।

এই ইনস্টিটিউটের উদ্দেশ্যও কার্যাবলী :

ইনস্টিটিউটের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ :

(১) মানবাধিকারের স্বীকৃতি ও বাঙালী জাতির মুক্তি ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও দর্শন ও তাঁর অনন্য অবদান এবং নেতৃত্বের ওপর উচ্চতর গবেষণা ও চর্চা, বাঙালী জাতির সার্বিক মুক্তির সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রাম এবং বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, সাহিত্য, দর্শন, প্রতœতত্ত্ব, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান, ভূগোল, সঙ্গীত, শিল্পকলা, আইন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা ও চর্চা এবং উক্তরূপ গবেষণা ও চর্চার জন্য সনদ স্বীকৃতি প্রদান;

(২) দেশ পরিচালনায় ও দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করিতে আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা;

(৩) স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ও সঠিক ইতিহাস চর্চা ও দেশ-বিদেশে উহা প্রকাশ করা;

(৪) দেশী ও বিদেশী সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পারস্পরিক চুক্তি ও সমঝোতা সাপেক্ষে গবেষণা পরিচালনা করা;

(৫) স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনার নিরবচ্ছিন্ন চর্চা ও গবেষণা করা;

(৬) ইনস্টিটিউটের শিক্ষা ও গবেষণার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতিক্রমে দেশী ও বিদেশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে অনুদান, চাঁদা ও বৃত্তি গ্রহণ করা এবং ট্রাস্ট গঠন করা;

(৭) গবেষণার জন্য যারা এই ইনস্টিটিউটে নিবন্ধিত হইবেন, তারা অন্যুন দশ বছর পর্যন্ত দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যাালয় ও প্রাসঙ্গিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পারস্পরিক চুক্তির ভিত্তিতে প্রধান/সহযোগী তত্ত্বাবধায়কের অধীনে গবেষণা কাজ পরিচালনার সুযোগ পাইবেন;

(৮) গবেষণার ফলাফল দেশ ও বিদেশে প্রচারের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটকে পরিচিত করে তোলা এবং সেই সকল গবেষণালব্ধ ফলাফল দেশ ও সমাজের প্রাসঙ্গিক উন্নয়ন ও পরিকল্পনায় প্রয়োগ করা;

(৯) শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নের জন্য একাডেমিক মিউজিয়াম, সংগ্রহশালা, পরীক্ষাগার, কর্মশিবির স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা;

(১০) শিক্ষা ও গবেষণার উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য পুস্তক ও জার্নাল প্রকাশ করা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করা;

(১১) সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সম্মেলন, প্রকাশনা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটকে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প-িত ব্যক্তিদের সহিত পরিচিত করা;

(১২) ইনস্টিটিউটের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া, চুক্তি বাস্তবায়ন করা এবং প্রয়োজনে চুক্তির শর্ত পরিবর্তন করা অথবা চুক্তি বাতিলের প্রস্তাব সুপারিশ;

(১৩) মেধার স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ইনস্টিটিউট যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করবে সেরূপ ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, পদক ও অন্যান্য পুরস্কার প্রবর্তন করা;

(১৪) এই সংবিধির অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও বাস্তবায়ন কল্পে প্রয়োজনীয় অন্যান্য যে কোন কার্য সম্পাদন করা।

(১৫) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনা সাপেক্ষে, উহার ওপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা;

সংবিধিতে এরপর বোর্ড অব গভর্নসের গঠন, বোর্ড অব গভর্নসের ক্ষমতা ও কার্যাবলী, বোর্ড অব গবর্নসের সভা, বোর্ড অব স্টাডিজ গঠন, বোর্ড অব স্টাডিজের ক্ষমতা ও কার্যাবলী, পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ইনস্টিটিউটে সাময়িক প্রেষণে নিয়োগ, ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ইনস্টিটিউটের তহবিল; সংবিধির সংশোধন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

এখন জরুরী কাজ হচ্ছে : সংবিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির কাঠামোগত বিন্যাস চূড়ান্ত করা। এর তহবিলের জন্য বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পাশাপাশি, বিধি অনুসরণ করে অন্যান্য সূত্রের অনুসন্ধান করা। দ্রুত কাজগুলো শেষ করে মুজিববর্ষের মধ্যেই যদি এই ইনস্টিটিউটটি কার্যক্রম শুরু করতে পারে তা’হলে খুব বড় কাজ হয়। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এ্যান্ড লিবার্টি’ কে দৃশ্যমান করতে গোটা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় পরিবার যে অসীম আন্তরিকতা নিয়ে প্রতিটি পর্যায় অতিক্রম করেছে, নিশ্চিত সেই একাগ্রতা নিয়ে বাকি কাজটুকুও তারা সম্পাদন করবেন।

এই প্রতিষ্ঠান জন্মশতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি জাতির শ্রদ্ধামিশ্রিত উপহার মাত্র নয়, আগামী অনেক শতবর্ষ ধরে অনাগত প্রজন্মের মেধা, মনন, চেতনায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চির জাগরূক রাখার প্রত্যয়ও। সম্মিলিত এই অভিযাত্রা সফল হবেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর নিজের উচ্চতা নিয়েই আকাশস্পর্শী। তাঁকে নিয়ে নিরন্তর চর্চা ও গবেষণার মধ্য দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি পাবে অনন্য মর্যাদা।

লেখক : সাবেক সভাপতি, বিএফইইজে, এডিটর ইন চীফ, টিভি টুডে, সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। bulbulahsan@gmail.com

error: কপি হবে না!