ads

রবিবার , ৭ এপ্রিল ২০১৯ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ফল কম খাওয়ায় বেশি মৃত্যু ঝুঁকিতে বাংলাদেশের মানুষ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
এপ্রিল ৭, ২০১৯ ১:৫৯ অপরাহ্ণ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ফল ও সবজি কম খাওয়াসহ বাজে খাদ্যাভ্যাসের কারণে প্রতি ১ লাখের মধ্যে ৩শ’ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায় বাংলাদেশে। আর বিশ্বে মৃত্যু হয় প্রতি ৫ জনে ১ জনের। মাত্রাতিরিক্ত মাংস, লবণ ও চিনি গ্রহণই এর বড় কারণ। বিখ্যাত স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নাল দ্য ল্যানসেটের গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ধূমপান থেকে শুরু করে অন্য যেকোনো ঝুঁকির চেয়ে খাদ্যাভ্যাসের কারণে বিশ্বে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। মানুষ প্রয়োজনীয় খাবার কম খেলেও অপ্রয়োজনীয় খাবার খায় বেশি। যেমন মিষ্টি জাতীয় পানীয় সহনীয় মাত্রার চেয়েও গড়ে ১০ গুণ বেশি পান করে মানুষ। নিরাপদ মাত্রার চেয়ে প্রতিদিন গড়ে ৮৬ ভাগ লবণ বেশি খায়। স্বাভাবিকের চেয়ে ১৮ ভাগ বেশি লাল মাংস খাওয়া হয়। অন্যদিকে শস্য দানা, ফল, বাদাম ও বীজ জাতীয় স্বাস্থ্যকর খাবার নেই বেশিরভাগ মানুষের নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায়। অর্থনৈতিক বৈষম্যও এর একটি বড় কারণ। দরিদ্র মানুষ অনেক সময় ৫ দিনে ১ দিনও ফল বা সবজি গ্রহণের সুযোগ পায় না বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে বছরে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় খাদ্যাভ্যাসের কারণে। এর মধ্যে ১ কোটি মানুষই হৃদরোগজনিত কারণে মারা যায়। এ ধরনের সমস্যা মূলত তৈরি হয় খাবারে লবণের পরিমাণ থেকে। অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বৃদ্ধি করে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। একই সঙ্গে লবণ হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীর ওপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অন্যদিকে শস্য দানা, সবজি ও বীজ জাতীয় খাবার হৃদরোগজনিত সমস্যার ঝুঁকি কমায়। বিশ্বে খাদ্যাভ্যাসজনিত বাকি মৃত্যুগুলো হয় ক্যান্সার ও টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে গবেষণায় বলা হয় বাংলাদেশে ১৭ থেকে ৩৪ বছর বয়সের ২৬ ভাগ মানুষের মৃত্যু টাইপ টু ডায়াবেটিসের কারণে হয়। বয়স্করা বেশি ভোগেন হৃদরোগের মৃত্যুঝুঁকিতে। ৪৯.১ থেকে ৫৭.৪ বছর বয়সের ৫৩ ভাগের বেশি মানুষের মৃত্যু এ কারণে হয়। এ সমস্যাগুলোর সবই খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে জড়িত। ফল কম খাওয়ার কারণে বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুঝুঁকি তৈরি হয়।
শীর্ষ ৫টি মৃত্যুঝুঁকির মধ্যে বাকিগুলো হচ্ছে সবজি কম খাওয়া, অতিরিক্ত সোডিয়াম বা লবণ গ্রহণ, শস্যদানা, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার কম খাওয়া।
প্রতিবেদনে ২০১৭ সালে খাদ্যাভ্যাসজনিত কারণে প্রতি লাখে ৩১৩-৩৯৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এমন দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে দেখানো হয়েছে। ভারত, চীন ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশও রয়েছে এই অবস্থানে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। এর আগে জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত ল্যানসেটের আরেক প্রতিবেদনে লাল মাংস ও চিনি খাওয়ার গড় পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে সবজি, ফল ও বাদাম জাতীয় খাবার বিদ্যমান পরিমাণের চেয়ে দ্বিগুণ করার কথা বলা হয়। যা একদিকে স্থুলকায় হয়ে যাওয়ার প্রবণতা রোধ করবে, অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাতেও ভূমিকা রাখবে। সেখানেও অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ এবং শস্যদানা ও ফল কম খাওয়াকে খাদ্যাভ্যাসের বড় ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

error: কপি হবে না!