মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের ৭নাসিরপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় ৭ থেকে ৮টি লাশ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটি) প্রধান মনিরুল ইসলাম। ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার ওই জঙ্গি আস্তানায় সোয়াটের অভিযান শেষে এক ব্রিফিংয়ে ওই তথ্য জানান তিনি। এর আগে নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানার নিয়ন্ত্রণ নেয় সোয়াট।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নাসিরপুর জঙ্গি আস্তানা ঘিরে দুই দিনে অভিযান শেষে ভিতরে বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন ৭/৮টি লাশের অংশ দেখা গেছে। তবে পুলিশের ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যরা কাজ শেষ করলে লাশের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি আরও জানান অপারেশন হিট ব্যাক’ এর নাসিরপুর অংশ শেষ হয়েছে। এখন সোয়াট সদস্যরা বড়হাটের জঙ্গি আস্তানা যাবে। সেখানে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে রাতে অভিযান চালাবে কী না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে রাতে অভিযান চালাতে না পারলে শুক্রবার সকালে অভিযান চালাবে সোয়াট।
এরআগে বিকেলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. শাহ জালাল জানান, নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সোয়াট। ঝড়-বৃষ্টি শেষে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার পর বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের ‘জঙ্গি আস্তানায়’ ফের অভিযান শুরু হয়।
রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় ঝড় ও বৃষ্টিতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান বিঘ্নিত হচ্ছে। এর মধ্যেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আস্তানা দুটি ঘিরে রাখে। ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ঘিরে রাখার পর নাসিরপুর গ্রামের ওই বাড়ি ঘিরে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শুরু হয় ‘অপারেশন হিট ব্যাক’। এ অভিযানে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে আছে সোয়াট।
এর আগে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে শহরের বড়হাট আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসা গলিতে দোতলা একটি বাড়ি ‘জঙ্গি আস্তানা’ হিসেবে শনাক্ত করে ঘিরে ফেলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর বুধবার ভোরে শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নাসিরপুর গ্রামে আরেকটি ‘জঙ্গি আস্তানা’ শনাক্ত হয়। পরে দুটি জঙ্গি আস্তানার দুই কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি হয়।