ads

শনিবার , ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

দুঃখ প্রকাশ করলেন ড. কামাল হোসেন

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮ ৭:০৪ অপরাহ্ণ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক : মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জামায়াত নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনায় অবশেষে দুঃখপ্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ১৫ ডিসেম্বর শনিবার সকলে এক বিবৃতিতে ওই দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন বলেন, তিনি প্রতিবছরের মতো বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মিরপুরের স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে তার অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিলেন। ১৯৭২-৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রণীত আইনগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারা তার কাছে সব সময়ই বিশেষ আবেগ ও অনুভূতির বিষয়।
ড. কামাল হোসেন বলেন, শুক্রবার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধের বেদিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘কত মেধাবী সন্তান হারিয়ে তবে স্বাধীনতা পেয়েছি।’ সে সময় হঠাৎ করেই তার কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের অবস্থান নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সবিনয়ে জানান, বুদ্ধিজীবী দিবস গভীর অনুভূতির বিষয়। তিনি এই দিনে এখানে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। সাংবাদিক আবারও একই প্রশ্ন করলে তিনি একই মনোভাব প্রকাশ করেন।
ড. কামাল হোসেন বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শুক্রবারের পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘ওই মনোভাব প্রকাশ করার পর ‘তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্যে থেকে অনবরত দুই থেকে তিনবার “জামায়াত জামায়াত” শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল এবং আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার বক্তব্য কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
তিনি বলেন, ‘আমি সারা জীবন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিল থেকেছি।’ ড. কামাল বলেন, ‘আশা করি, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা তাদের জীবনের বিনিময়ে যে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আমরা সবাই মিলে গড়তে সক্ষম হব।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ড. কামাল হোসেন বের হওয়ার সময় টেলিভিশনের একাধিক সাংবাদিক স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, শহীদ মিনারে (স্মৃতিসৌধে) এসব বিষয়ে কোনো কথা তিনি বলবেন না। এরপরও সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে থাকেন। একজন বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। তারপরও তারা ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে নির্বাচন করছে। এ সময় রেগে গিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। বেহুদা কথা বলো। কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছ? তোমার নাম কী? জেনে রাখব তোমাকে। চিনে রাখব। পয়সা পেয়ে শহীদ মিনারকে অশ্রদ্ধা করো তোমরা। আশ্চর্য।’ এ পর্যায়ে আরেকজন সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন। তখন ড. কামাল হোসেন তখন ধমক দিয়ে বলেন, ‘শহীদদের কথা চিন্তা করো। হে হে হে হে করছ! শহীদদের কথা চিন্তা করো। চুপ করো। চুপ করো। খামোশ।’

error: কপি হবে না!