মহিনুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী : নীলফামারীর ডিমলায় ৮ নভেম্বর রবিবার সকালে গৃহবধুকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। রোজিনা আক্তার (২৫) পিতার অভিযোগ মেয়েকে শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন হত্যা করেছে। অপরদিকে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন বলছে, বাড়ীর পাশ্ববর্তী লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার নাউতরা ইউনিয়নের নাউতরা গ্রামের তৈয়ব আলীর কন্যা রোজিনা আক্তারের সাথে পাশ্ববর্তি গয়াবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ী গ্রামের আলী আহম্মেদের পুত্র রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। রোজিনার সংসারে রোকশানা (৪) বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। রেজিনা রফিকুলের ২য় স্ত্রী।
রোজিনার স্বামী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার পিতা আলী আহম্মেদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কারনে বাড়ীর পাশ্ববর্তী আমজাদ হোসেনের সাথে আদালতে মামলা চলছে। রবিবার সকালে বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে পাশ্ববর্তী আমজাদ হোসেন ও তার দুই পুত্র কিসমত আলী (২৫) ও আসমত আলী (২২) বাড়ীতে এসে রোজিনা আক্তারকে হত্যা করে লাশ ঘরের ভিতর ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। অপরদিকে মেয়েটির পিতা তৈয়ব আলী জানায়, যৌতুকের টাকার কারনে জামাতা রফিকুল ইসলামের সাথে দ্বন্দ চলে আসছিল। রোজিনার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঘরের তীরে ঝুলিয়ে রাখে। ডিমলা থানার ওসি রহুল আমিন খান বলেন, ময়না তদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
