শ্যমিলবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বিনিময় সার্ভিসের একটি চলন্ত বাসে এক পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণ মামলায় বাসচালক ও তিন সহকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২২ মে বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন ওই রায় ঘোষনা করেন।
দণ্ডিতরা হচ্ছেন- বাসচালক ধনবাড়ী উপজেলার ফকিরবাড়ি গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে হাবিবুর রহমান নয়ন (২৮), সহকারী একই উপজেলার দয়ারামবাড়ি গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে আবদুল খালেক ভুট্টু (২৩), চাতুটিয়া গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে আশরাফুর (২৬) ও নিজবর্নি গ্রামের মৃত আবদুল মোতালেবের ছেলে রেজাউল করিম জুয়েল (৩৮)। দণ্ডিতদের এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) একেএম নাছিমুল আক্তার জানান, গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কর্মরত এক নারী শ্রমিক তার খালার বাড়ি ধনবাড়ীতে বেড়াতে আসেন। ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল ভোর ৫টার দিকে ওই নারী শ্রমিক ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে বিনিময় সার্ভিসের একটি বাসে তার কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য উঠে। ওইসময় বাসে আর কোনো যাত্রী ছিল না। বাসটি ধনবাড়ী থেকে ছাড়ার পরেই এর চালক ও সহকারীরা পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন।
চালক ধর্ষণের সময় এক সহকারী বাসটি চালায়। পরে ওই বাসটি মধুপুর পর্যন্ত এসে ঢাকার দিকে না গিয়ে ময়মনসিংহ সড়কের দিকে গিয়ে বন এলাকায় ওই পোশাক শ্রমিককে নামিয়ে দিয়ে যায়।
পরে ওই পোশাক শ্রমিক অন্য একটি গাড়িতে কর্মস্থলে গিয়ে তার স্বামীকে ঘটনা জানায়। ওই দিনই স্বামীসহ টাঙ্গাইল এসে পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ বাসচালক ও সহকারীদের আটক করে। পরে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছর ১১ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত হাবিবুর, আবদুল খালেক ও আশরাফুলকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডিত রেজাউল করিম জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে।