নওগাঁ সংবাদদাতা : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ। এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। বিএনপি যতই নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করুক শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেই। কারণ এই নির্বাচনে অংশগ্রহন না করলে বিএনপি’র কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। জনপ্রিয়তা হারিয়ে যখন ভোটে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই তখন কেবলমাত্র নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য বরাবর টালবাহানা করে থাকেই। এটি বিএনপি’র স্বভাব সুলভ আচরণ। তিনি ৬ মার্চ সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত নেতা আব্দুল জলিলের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় ওইসব কথা বলেন। স্থানীয় নওযোয়ান মাঠে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মালেক এমপি।
স্মরণসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় সংসদের হুইপ মোঃ শহিদুজ্জামান সরকার এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি’র সমালোচনার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি সকল রাজনৈতিক দলের সাথে দীর্ঘ আলোচনার পর সার্চ কমিটি কর্ত্তৃক দাখিলকৃত তালিকা থেকে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে তারপরও বিএনপি’র বিষাদাগার। এক্ষেত্রে তিনি বিএনপি’কে বাংলাদেশ নালিশ পার্টি বলে উল্লেখ করেন। মন্ত্রী প্রয়াত নেতা আব্দুল জলিলের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাংগঠনিক, মানবদরদী এবং বিনয়ী। তাঁকে নওগাঁর মানুষ যে কত ভালোবাসেন এই স্মরণসভায় হাজার হাজার নারী পুরুষের ঢল দেখে তাই প্রমাণ করে। তা নাহলে এই প্রখর রোদের মধ্যে দুঃসহ গরম সহ্য করে এত মানুষ মাঠে বসে থাকতে পারতোনা। মৃত্যুর পরও মানুষ তাঁকে হৃদয়ের মাঝখানে রেখেছেন।
আব্দুল জলিলের আদর্শ অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, অন্যের জমি দখল করে, মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। তৃণমূল কর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে ইচ্ছামত পকেট কমিটি গঠন করতে দেয়া হবেনা। দল যখন ক্ষমতায় থাকে তখন কিছু মৌসুমি পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে আসে। বসন্তের এসব কোকিলদের চাপে কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ক্ষমতা চলে গেলে হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও এসব মৌসুমি পাখির খোঁজ পাওয়া যায় না। নেতাদের এরকম সিন্ডিকেট করতে দেয়া যাবেনা। আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। সবকিছুই হবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিগত ৮ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে বিশ্বে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। সেইসাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ১০ জন নেতার মধ্যে নিজেকে একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই আগামী নির্বাচনে ভোটের কোন ঘাটতি হবে না।