শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেখান থেকে চ্যাডউইক ওয়ালটনকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান ইমরুল কায়েস। ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলেন তারা। একপর্যায়ে দুজনই ক্রিজে সেট হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইমরুলরা। এর মধ্যে দিয়ে বিপিএলে শুভসূচনা করল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
সিলেট বোলারদের তুলোধুনো করতে শুরু করেন ইমরুল-ওয়ালটন। ফলে জয়ের পথে এগোতে থাকে চাটগাঁর দলটি। তবে হঠাৎ থমকে যান ইমরুল। অবশ্য জয় তখন হাতছোঁয়া দূরত্বে। এবাদত হোসেনের বলে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। ফেরার আগে খেলেন ৩৮ বলে ৫ ছক্কার বিপরীতে ২ চারে ৬১ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস।
১১ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। এ ম্যাচে খেলছেন না দলটির নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফলে দলের হয়ে টস করতে নামেন রায়াদ এমরিত। টস ভাগ্যে জিতে যান তিনি।
এতে আগে ব্যাটিং শুরু করে সিলেট। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতদের। সূচনালগ্নেই ফিরে যান রনি তালুকদার। উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি করে তাকে ফেরান রুবেল হোসেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলে প্রথম উইকেটশিকারী হন তিনি।
রনি ফিরলেও দারুণ খেলতে থাকেন অপর ওপেনার জনসন চার্লস। মোহাম্মদ মিঠুনের কাছ থেকে পান যোগ্য সহযোদ্ধার সঙ্গ। তাতে রীতিমতো চোখ রাঙান তিনি। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি ক্যারিবীয় ব্যাটার। তার চোখরাঙানি থামান নাসুম আহমেদ। ফেরার আগে ২৩ বলে ৭ চারে ঝড়ো ৩৫ রান করেন চার্লস।
মোসাদ্দেক একটু দেখেশুনে খেললেও তোপ দাগান মিঠুন। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে চট্টগ্রাম বোলারদের কচুকাটা করেন তিনি। শেষ অবধি তার টর্নেডোতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ১৬৩ রানের টার্গেট দেয় সিলেট।
এর আগে ১টি করে চার-ছক্কায় ৩৫ বলে ২৯ রান করে মোসাদ্দেক ফিরলেও ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন মিঠুন। ৪৮ বলে ৫ ছক্কার বিপরীতে ৪ চারে এ দুর্দমনীয় ইনিংসটি সাজান তিনি। শেষ অবধি তার মারকাটারি ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬২ রানের পুঁজি গড়ে সিলেট। চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে ২৭ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন রুবেল।