ads

শুক্রবার , ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আফগানদের গুঁড়িয়ে মাসাকাদজার দাপুটে বিদায়

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯ ১১:২৩ অপরাহ্ণ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের পঞ্চম ম্যাচ দিয়ে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। নিজের বিদায়ী ম্যাচকে দারুন নৈপুণ্য দিয়ে স্মরণীয় করেই রাখলেন তিনি। ব্যাট হাতে ৪২ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন মাসাকাদজা। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে শক্তিশালী আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে হারালো জিম্বাবুয়ে। ফলে টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচে সান্তনার জয় দিয়ে আসর শেষ করলো জিম্বাবুয়ে। লিগ পর্বে ৪ ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি জয়ের স্বাদ পেল মাসাকাদজার দল। পাশাপাশি টি-২০ ক্রিকেটে এই প্রথমবার আফগানিস্তানকে হারালো জিম্বাবুয়ে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। প্রথমে পর্বের মত বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর লক্ষ্য ছিলো আফগানদের। লিগের প্রথম পর্বে এই জিম্বাবুয়ের ৫ উইকেটে ১৯৭ রান করেছিলো আফগানিস্তান। কিন্তু এবার আর রানের পাহাড় গড়তে পারেনি রশিদের দল। জিম্বাবুয়ে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং-এ ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৫ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।
তবে দুই ওপেনার রহমনউল্লাহ গুরবাজ ও হযরতউল্লাহ জাজাই উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন আফগানিস্তানকে। ৯ দশমিক ৩ ওভারে ৮৩ রান যোগ করেন তারা। এতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় আফগানরা। তবে ১৪তম ওভারে দলীয় ১১৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনার বিদায় নিলে, পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ পায়নি আফগানিস্তান।
গুরবাজ ৪টি করে চার-ছক্কায় ৪৭ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন। আরেক ওপেনার জাজাই ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৪ বলে ৩১ ও তিন নম্বরে নামা শফিকুল্লাহ ১৩ বলে ১৬ রান করেন। এছাড়া গুলবাদিন নাইব ৭ বলে ১০ ও অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ফজল নিয়াজাই ১৫ বলে ১২ রান করেন। এরা ছাড়া দলের আর কোন ব্যাটসম্যানই দু’অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেনি। জিম্বাবুয়ের ক্রিস এমপোফু ৩০ রানে ৪টি ও টিনোটেন্ডা মুতোমবদজি ১৮ রানে ২ উইকেট নেন।
১৫৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে দলের ইনিংস শুরু করেই বিধ্বংসী রুপ দেখান মাসাকাদজা। ইনিংসের প্রথম বলে চার ও দ্বিতীয় ছক্কা মারেন তিনি। তার ব্যাটিং-এ দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লেতে ৪৩ রান পায় জিম্বাবুয়ে। তবে আরেক ওপেনার ব্রেন্ডন টেইলর ১৭ বলে ১৯ রান করে থামেন।
এরপর রেজিস চাকাভাকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে অনায়াসে রান যোগ করতে থাকেন মাসাকাদজা। তাতে ১২ ওভারেই শতরানে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ। এরমধ্যে ৬৬ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ১১তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে নেন মাসাকাদজা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরির পরও নিজের ইনিংসটি বড় করতে থাকেন মাসাকাদজা। এতে জিম্বাবুয়ের জয় অনেকটাই সহজ হতে যায়। তবে ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১১০ রানে আউট হয়ে যান মাসাকাদজা। আফগানিস্তানের ডান হাতি পেসার দৌলত জাদরানের শিকার হওযার আগে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে চাকাভার সাথে ৪৭ বলে ৭০ রান যোগ করেন মাসাকাদজা। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন জিম্বাবুয়ের এমপোফু।
এরপর চাকাভাও ৩২ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন। তখন জয় থেকে ১৭ রান দূরে দাড়িয়ে জিম্বাবুয়ে। ৩ বল হাতে রেখে দলের প্রয়োজনীয় ১৭ রান পূরণ করেছেন সিন উইলিয়ামস ও মুতোমবদজি। উইলিয়ামস ২৪ বলে অপরাজিত ২১ ও মুতোমবদজি ১ রানে অপরাজিত করেন। আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান ২৮ রানে ২ উইকেট নেন।

error: কপি হবে না!