শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ নির্বাচন তদারকির দায়িত্ব দেয়ার দাবিতে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে যাবে বিএনপি। নির্বাচন কমিশন আপনাদের কথা শুনছে না বলে দাবি করছেন; এরপরও কি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে যাবেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি ওই তথ্য জানান। ১৫ ডিসেম্বর শনিবার সকালে বগুড়ায় ২ দিনের নির্বাচনের প্রচারে শেষদিন স্থানীয় উডবার্ন গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ওই কথা বলেন ফখরুল।
ওই সময় অন্যান্যের মধ্যে বগুড়া সদর আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা একেএম মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, বগুড়া-১ আসনের প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৩ আসনের আবদুল মহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ আসনে মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৫ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৭ আসনের মোর্শেদ মিল্টন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওইসময় তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর গ্রেফতার বন্ধের অঙ্গীকার করলেও সরকার কথা রাখেনি। এখনও গ্রেফতার, হামলা ও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। ড. কামাল হোসেন ও আসম আবদুর রবের মত জাতীয় নেতাদের ওপর হামলা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের এখনও বোধোদয় হয়নি; তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় থেকে জনগণকে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে চাইছে। হামলা-মামলা অব্যাহত রয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা জামায়াত ও জাতীয় পার্টিকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। ১৭৩ দিন হরতাল দেন। জনমতকে মেনে নিয়ে আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিলাম। পরপর তিনটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে; প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। অথচ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।
ফখরুল বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়; বগুড়ার সাতটি আসনে ধানের শীষের জোয়ার উঠেছে। জনগণ তাদের প্রিয় মানুষকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করতে রাস্তায় নেমে এসেছেন। ‘আর জনগণ এগিয়ে এলে কোনো অপশক্তি টিকে থাকতে পারবে না।’
