শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সহ-সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ পদে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ ও সমমনাদের সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত সাদা প্যানেল এবং বিএনপি ও সমসমাদের সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত নীল প্যানেল পেয়েছে সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ ৮টি পদ।
সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত সাদা প্যানেলের প্রার্থী সমিতির সাবেক সম্পাদক এ এম আমিন উদ্দিন ৩ হাজার ২২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি জোটের প্রার্থী সাবেক সভাপতি এ জে (আবদুল জামিল) মোহাম্মদ আলী পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪৩ ভোট। অন্যদিকে সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের প্রার্থী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ৩ হাজার ৫৬ ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এ নিয়ে টানা ৭বার সম্পাদক নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের প্রার্থী আব্দুন নূর দুলাল পেয়েছেন ২ হাজার ৬৪৯ ভোট।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল থেকে অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সহ-সম্পাদক কাজী শামসুল হাসান শুভ এবং তিনটি সদস্য পদে আফিফা আফরোজ, চঞ্চল কুমার বিশ্বাস ও শামীম সরদার। অন্যদিকে বিএনপি জোটের নীল প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা হলেন- সহ-সভাপতি আব্দুল বাতেন, কোষাধ্যক্ষ মো. ইমাম হোসেন, সহ-সম্পাদক শরীফ ইউ আহমেদ এবং চারটি সদস্য পদে রাশিদা আলিম ঐশী, মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী, কাজী আখতার হোসেন ও সৈয়দা শাহীন আরা লাইলি।
নির্বাচনে গত ১৩ ও ১৪ মার্চ দু’দিনব্যাপী ভোট গ্রহণের পর গণনা শেষে শুক্রবার ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন উপকমিটির আহ্বায়ক এ ওয়াই মসিউজ্জামান। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সুপারিনটেনডেন্ট নিমেষ চন্দ্র দাশ সাংবাদিকদের জানান, মোট ভোটার সাত হাজার ৮২৫ জন। তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৮২১ জন ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনে দুটি প্যানেল, পাঁচ স্বতন্ত্রসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৩৩ জন প্রার্থী।
টানা ১১ বছর সুপ্রিম কোর্ট বারে নেতৃত্ব দেওয়ার পর ২০১০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের একক আধিপত্যের অবসান ঘটে। এর পর ২০১৬ সালের নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ ৮টি পদে নিরঙ্কুশ বিজয় পান আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা। এর পর আবারও পথ হারায় সরকার সমর্থকরা। তবে গত ৩ বছর ধরে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সরকার সমর্থক আইনজীবীরা নিরঙ্কুশ বিজয়ী হলে সেই ধারা সুপ্রিম কোর্ট বারে অব্যাহত রাখতে মরিয়া ছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদ। এ লক্ষ্যে বিভেদহীন প্যানেলও ঘোষণা করেছিল তারা। তবে এবারও তাদের নেতৃত্বে ভাগাভাগি হয়েছে।
