স্টাফ রিপোর্টার, শ্রীবরদী ॥ শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিয়ের প্রলোভনে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় ধর্ষক আবু সিদ্দিক (২২)সহ সহযোগী মোর্শেদ (২১) পলাতক রয়েছে। পৌরশহরের সেকদি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদী পৌরশহরের কলাকান্দা এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী এমএনবিপি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। প্রতিবেশী সেকদি গ্রামের আবু সিদ্দিক আত্মীয়তার সূত্র ধরে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যাতায়াত করতো। ওই সুবাদে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যর্থ হয়ে গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় তার বাড়ির পাশে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণ করে। ওই সময় ওই ছাত্রীর আত্মীয় স্বজন সংবাদ পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ সেকদি গ্রামের আবু সিদ্দিকের বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে গত ২৩ নভেম্বর আবু সিদ্দিক ও সহযোগি মোর্শেদের নামে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
ভিকটিম উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে এসআই মোফাখখির জানান, ৯৯৯ নম্বরে ফোন এলে আমরা সেকদি গ্রামের আবু সিদ্দিকের বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করি। ওই ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তবে আবু সিদ্দিকের বাবা আব্দুল হাকিম মুন্সী জানান, তার ছেলে ওই মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে পুলিশ এসে ওই মেয়েকে নিয়ে যায়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।