স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ধোপাকুড়া গ্রামের ব্র্যাক স্কুলপড়ুয়া ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। সাজাপ্রাপ্ত আশরাফুল ইসলাম (২০) নালিতাবাড়ীর ধোপাকুড়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামান ওই রায় ঘোষণা করেন। পলাতক থাকায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির অনুপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৭ সালের ১৪ অক্টোবর ঈদের দিন বিকেলে বোনের বাড়ি থেকে নিজবাড়ি ফিরছিলেন ধোপাকুড়া গ্রামের ৪র্থ শ্রেণিপড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রী (১২)। পথিমধ্যে একই এলাকার বখাটে আশরাফুল ভিকটিম ওই স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় এবং পরিচিত স্থানীয় হামিদুল মিয়ার ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ভিকটিমকে ধর্ষক আশরাফুল পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী এলাকায় তার বোনের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং দ্বিতীয়বার ধর্ষণের চেষ্টা করে। সেসময় ভিকটিম কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে বোনের বাড়িতে রেখে বখাটে আশরাফুল গা ঢাকা দেয়। ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে পরদিন নালিতাবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামি আশরাফুলকে গ্রেফতার করে। পরে তদন্ত কর্মকর্তা নালিতাবাড়ী থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর বখাটে আশরাফুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালতে বিচারকাজ চলাকালে আসামী আশরাফুল জামিন নিয়ে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় বাদী, ভিকটিম, চিকিৎসক, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার ওই রায় ঘোষণা করেন বিচারক।