জাহিদুল খান সৌরভ, শেরপুর : শীতের শুরুতেই ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে শেরপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। বিশেষ করে ছোট্ট শিশুদের মাঝে ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া প্রকোপ বেড়েছে।
পৌষের শুরুতেই প্রচণ্ড শীত যেন এবার শেরপুরবাসীকে জানান দিচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে আরও বাড়বে শীতের তীব্রতা। নিতান্ত পেটের দায়ে যেসব খেটে খাওয়া দিন-মজুর শ্রেণির লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন, তারা হাড় কাঁপানো শীতের তীব্রতায় হচ্ছেন জবু-থবু। অপরদিকে লেপ-কাঁথা, কম্বল আর গরম কাপড় যাদের ভাগ্যে জুটে না, তারা সামান্য খড়-কুটোয় আগুন জ্বেলে শীতের তীব্রতাকে মোকাবেলা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র মানুষরা ভীড় করছেন ফুটপাতের পুরনো গরম কাপড়ের বিক্রেতাদের কাছে।
এদিকে প্রচন্ড শীতের কারণে শিশুদের ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ আশংকাজনক হারে বেড়েছে। শেরপুরের বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও সরকারি হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার শিশু ওয়ার্ডগুলিতে ওই রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভীড়। হাসপাতালগুলির সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন হাসপাতালে গড়ে ৪-৫টি শিশু প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে। যা বিগত যেকোনো বছরের তুলনায় বেশি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সদর উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনিজা খাতুন শ্যামলবাংলা২৪ডটকমকে জানান, আমার মেয়ে মারিয়া জান্নাত (৩ মাস) কে নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে সদর হাসপাতালে ভর্তি আছি, তার সমস্যা হলো নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট।
জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মনিকা রায় চৌধুরী জানান, গত এক সপ্তাহে বহির্বিভাগে ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, জ্বর, কাশি এবং ডায়রিয়াজনিত শতাধিক রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।