স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরের নকলায় ৪ বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণের দাবির মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে যাবজ্জীবন ও ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ১৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মোঃ আখতারুজ্জামান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের দু’টি পৃথক ধারায় ওই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন নকলা উপজেলার পাঁচকাহনীয়া গ্রামের হোসেন আলী (৩৯) ও তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (৩৪)। আদালত একইসঙ্গে তাদের ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন আদালত। ট্রাইব্যুনালের পিপি এডভোকেট মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া ওই রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর হোসেন আলী ও তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন বেড়ানোর কথা বলে নকলা উপজেলার শালখা গ্রামের আব্দুল জলিলের ৪ বছরের মেয়ে আকলিমাকে বাড়ি থেকে ডেকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে মুঠোফোনে তার (আকলিমা) বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন। কিন্তু শিশুটির বাবা আব্দুল জলিল মুক্তিপণ দিতে অসমর্থ হওয়ায় ঘটনাটি নকলা থানার পুলিশকে জানান এবং ২০১১ সালের ১ নবেম্বর বাদী হয়ে হোসেন আলী ও তাসলিমার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ সুকৌশলে শিশুটিকে উদ্ধার করে। মামলার তদন্ত শেষে নকলা থানার তৎকালীন এসআই আনিসুর রহমান ২০১১ সালের ২৭ নবেম্বর আসামি হোসেন আলী ও তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণশেষে আদালত সোমবার ওই রায় ঘোষণা করেন।