জাহিদুল খান সৌরভ, শেরপুর ॥ শেরপুরে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরবাইকেও ব্যবহৃত হচ্ছে ইমার্জেন্সি হর্ন। বিশেষ করে উঠতি বয়সী যুবকরা তাদের পছন্দের বাইকে এ হর্ণের ব্যবহার করছে বেশি। শুধু তাই নয়, ইদানিং অনেকে তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতেও বাড়তি সুবিধা পেতে এর অপব্যবহার করছেন। রোগী বহনকারী অ্যাম্বুল্যান্স, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশের গাড়িতে ইমার্জেন্সি হর্ণের আইনগত অনুমতি থাকলেও দিন দিন শেরপুরের ব্যস্ত রাস্তাগুলোতে যত্রতত্র বেজে উঠছে এ গুরুত্বপূর্ণ হর্ণের শব্দ।
আজকাল শেরপুরের বিভিন্ন পার্টসের দোকানে অহরহ মিলছে উচ্চ শব্দ সম্বলিত এ গুরুত্বপূর্ণ হর্ণ। আর দেখতে সুন্দর, ‘আনকমন’ শব্দ মনে করে অনেক নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ওই ইমার্জেন্সি হর্ণ তাদের গাড়িতে ব্যবহার করছে। শেরপুরের বিশিষ্ট তরুণ ব্যবসায়ী ও হাজী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তাসিম আনসারী বলেন, আজকার ট্রাফিকজ্যামে প্রায়ই বেজে উঠছে ওই হর্ণ। তাই অনেক সময় জরুরি গাড়ি মনে করে দায়িত্বরত ট্রাফিক রাস্তা ক্লিয়ার করে দেন। পরে দেখা যায় নিজস্ব প্রাইভেট কার। এর ফলশ্রুতিতে অনেকসময় আমরা কনফিউজড হয়ে যাই। মাজহারুল নামে এক তরুণকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে সে জানায়, এটি বাজলে সড়ক ফাঁকা হয়ে যায়। অন্য গাড়ি বিশেষ করে রিক্সা-অটোরিক্সাগুলো দ্রুত আমাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার জায়গা করে দেয়। তখন গাড়ি চালাতে অন্য রকম মজা লাগে। অযথা ইমার্জেন্সি হর্ণ ব্যবহার ও বাজানোতো বেআইনি, পুলিশ কিছু বলে না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কই, এখনও সমস্যায় পড়িনি। প্রায় প্রতিদিনই তো গাড়ি নিয়ে বের হই। কেউ কিছু বলে না।
এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম জানান, ওই হর্ণের অপব্যবহারকারীদের কাউকে বিন্দু পরিমান ছাড় দেওয়া হবে না। এ সম্পর্কে জেলা পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। হাতে-নাতে ধরতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।