নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি ॥ শেরপুরের নকলা উপজেলায় এক কিশোরী ফুটবলারকে ধর্ষণের অভিযোগে আজগর আলী (৫০) নামে এক বক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২১ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দরিদ্র ওই কিশোরী ফুটবলারের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আজগর আলী নকলা পৌর এলাকার কুর্শাবাদাগৈড় মহল্লার মৃত টেপু মিয়ার ছেলে এবং তার স্ত্রী-সন্তানসহ নাতি-নাতনীও রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আজগর আলীকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। ধর্ষণের ফলে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়া ওই কিশোরীর সন্তান প্রসব হয়েছে।
জানা যায়, কিশোরীটি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন টুর্ণামেন্টে অংশ নিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে। দরিদ্র দিনমজুর ওই কিশোরীর বাবা প্রায় এক বছর আগে মৃত্যুবরণ করলে ৬ সদস্যের পরিবারটি আরও অসহায় হয়ে পড়ে। মা অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। ওই কিশোরীটি শেরপুর, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলায় ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলে পরিবারকে সহায়তা করে। কিন্তু প্রতিবেশী আজগর আলীর কু-নজর পড়ে কিশোরী ফুটবলারটির প্রতি। একপর্যায়ে আজগর আলী ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিশোরী ফুটবলারকে ধর্ষণ করলে সে অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। এমনকি গত ১৩ মে কিশোরীটি একটি সন্তান প্রসব করে। ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কিন্তু স্থানীয় একশ্রেনীর দালাল-সমাজপতিরা ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা এবং মেয়ের পরিবারকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দিতে থাকে। ঘটনাটি পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে তার নির্দেশে মামলা রেকর্ড করা হয় এবং আসামী আজগর আলীকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। ঘটনাটির সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল।
এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন শাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই কিশোরীর নারী ও শিশু নির্যাতস দমন আইনে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার প্রেক্ষিতে দিনমজুর আজগর আলীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভিকিটমের ডাক্তারী পরীক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।