ads

সোমবার , ৩ জুলাই ২০১৭ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

রাঙামাটিতে ফের পাহাড়ধস

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জুলাই ৩, ২০১৭ ৭:১৬ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি সংবাদদাতা : রাঙামাটিতে আবারও পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখনও কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে টানা বৃষ্টি থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ৩ জুলাই সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের মানিকছড়ির দেপ্পোছড়ি এলাকায় একটি পাহাড়ের অংশবিশেষ ধসে পড়ে। এতে প্রায় এক ঘন্টা ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সওজ বিভাগের লোকজন ধসে পড়া মাটি সরিয়ে ফেললে পুনরায় ওই সড়কে পুনরায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রবিবার রাত থেকে রাঙামাটিতে একটানা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত চলেছে। সোমবার বেলা ৩টা পর্যন্ত একবারের জন্যও বৃষ্টিপাত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়নি। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানার পর জেলা প্রশাসন রোববার সন্ধ্যার পর থেকে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করে। এরপর প্রায় সারা রাতই বৃষ্টি হয়েছে যা একটানা এখনো অব্যাহত আছে।
এ ধরণের বৃষ্টিতে সবার মধ্যেই নতুন করে পাহাড়ধসের আতংক সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৩ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি শহরের ভেদেভদী, যুব উন্নয়ন বোর্ড শিমুলতলী, রুপনগর, মুসলিম পাড়া, মোনঘর এলাকা, ওমদা মিয়া হিলসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্থ ৩ হাজার ২শ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নেন। তবে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হওয়ায় গেল রবিবার রাঙামাটি সরকারী কলেজ ও বিএডিসি আশ্রয় কেন্দ্রসহ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র থেকে কিছু পরিবার নিজ বাড়ী ঘরে ফিরে গেছেন। তবে সোমবার থেকে আবারও দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করায় আবারও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছেন।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান জানান, বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের আশংকায় ঝুকিপুর্ণ এলাকায় যারা বসবাস করছে তাদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পৌর এলাকায় কোথায় কোথায় ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় লোকজন বসবাস করছে তা দেখতে এবং ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদ কেন্দ্রে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যাতে পরবর্তীতে এ ধরনের পাহাড় ধসে কোন লোকজন দুর্ঘটনায় শিকার না হন।
গত ১৩ জুন ভারী বৃষ্টিতে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর যুব উন্নয়ন বোর্ড এলাকা, মুসলিম পাড়া, শিমুলতলী এলাকা, সাপছড়ি, মগবান,বালুখালী এলাকায় এবং জুরাছড়ি, কাপ্তাই, কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ১২৭ জন। ১৮ হাজার ৫৫৮টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ সংখ্যা হয় । পাহাড় ধসের কারণে সারাদেশের সাথে সড়ক যোগযোগের এক সপ্তাহ বিচ্ছিন্ন থাকার পর হালকা যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ফের পাহাড়ধসে ঘটনা ঘটল।

error: কপি হবে না!