শ্যামলবাংলা ডেস্ক : চলতি বছরের মধ্যেই আবাসিক এলাকায় গ্যাস সংযোগ দেয়া শুরু করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সম্প্রতি প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন।
২০০৯ সালের ২১ জুলাই থেকে শিল্প ও বাণিজ্যি এলাকায় নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয়। এরপর ২০১০ সালের ১৩ জুলাই থেকে আবাসিকেও নতুন গ্যাস-সংযোগ বন্ধ করা হয়। ২০১৩ সালের ৭ মে আবাসিকে সংযোগ দেয়া শুরু হলেও কিছুদিন পর তা আবার বন্ধ করে দেয়া হয়।

আবাসিকে গ্যাস সংযোগ চালুর বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান ১ জুলাই বুধবার সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘বিচার-বিশ্লেষণ চলছে- কী আছে, কী লাগবে, কী দিতে হবে, কী পরিমাণ আবেদন পেন্ডিং আছে। এগুলো নিয়ে আমরা এক্সারসাইজ করছি। এরপর আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে যাব।’ তিনি ওইসময় বলেন, অনেকে বেশ কয়েক বছর আগে ডিমান্ড নোট জমা দিয়েছিল, এমন একটা ক্যাটাগরি আছে। কিছু আছে ডিমান্ড ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু টাকা জমা হয়নি, কিছু অ্যাপ্লিকেশন ছিল, কিছু আছে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করে যাচ্ছে।
‘এই চার ক্যাটাগরিতে কী সংখ্যক আছে, হয়তো ১০ শতাংশ কম-বেশি হবে। এর সঙ্গে আমাদের পজিশন কী, এই চার ক্যাটাগরিতে সংযোগের ক্ষেত্রে কী পরিমাণ গ্যাস লাগবে, কতজনকে আমরা সংযোগ দিতে পারব, কী পরিমাণ গ্যাসের সংস্থান আমাদের আছে। এগুলো বিবেচনা করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘এগুলো নিয়ে হাইকোর্টে মামলা মোকদ্দমাও হয়েছিল, এ বিষয়ে অর্ডারও আছে। সবকিছু নিয়ে যাচাই-বাছাই করে তারপর এগোব কীভাবে কী করা যায়। তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা তার সঙ্গে আলোচনা করেছি, সবকিছু বিস্তারিতভাবে এক্সারসাইজ করে প্রস্তাব পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদন আনতে হবে।’
আনিছুর রহমান বলেন, আমরা আশা করছি আগামী কিছুদিনের মধ্যেই একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব। দ্রুত কিছু করার চেষ্টা করব যাতে কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু করা যায়। আমরা একটা কর্মপদ্ধতি ঠিক করব কীভাবে এটা করব। একসঙ্গে সবাইকে দিতে (গ্যাস সংযোগ) পারব না, ধীরে ধীরে দেয়া হবে।
সারা দেশে ৬ টি সরকারি কোম্পানি গ্যাস বিতরণ করে থাকে। এগুলো হলো- তিতাস, কর্ণফুলী, পশ্চিমাঞ্চল, জালালাবাদ, বাখরাবাদ ও সুন্দরবন।