এ দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি কৃষি। কৃষি দপ্তর সংশ্লিষ্টদের ও কৃষকদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে আমরা খাদ্য উদ্বৃদ্ধ দেশের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তাদের ইচ্ছা থাকার পরেও, বিভিন্ন কারনে কৃষিমাঠে সৃষ্ট সমস্যা মোকাবেলায় উপযুক্ত পরামর্শ সঠিক সময়ে কৃষকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তাতে স্বাভাবিক কারণেই কৃষকরা প্রায়শই ক্ষতির সম্মুখীন হন। তাই কৃষক ও কৃষি উন্নয়নের কথা বিবেচনায় এনে প্রতি ইউনিয়নে না হলেও, অন্ততঃ প্রতিটি উপজেলায় কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন বইয়ের সমাহারে একটি করে উন্মুক্ত কৃষি লাইব্রেরী স্থাপন করা এখন সময়ের দাবি। কৃষকরা এ লাইব্রেরীর বিভিন্ন বই থেকে জ্ঞানার্জন করে, নিজেরাই ফসলের মাঠে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে উপজেলার কোন কৃষক সংগঠনকে লাইব্রেরী পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। এতে একদিকে কৃষি অফিসারদের উপর চাপ কমবে, অন্যদিকে নিজেরা সঠিক সময়ে ফসলের মাঠে সৃষ্ট সমস্যা মোকাবেলা করায় বাড়বে কৃষি উৎপাদন। তাই অন্ততঃ প্রতি উপজেলায় সবার জন্য উন্মুক্ত একটি করে কৃষি লাইব্রেরী স্থাপনের দাবি করেছেন ‘ভূরদী কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যান সংস্থা’র মতো বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের কৃষকরা।
প্রতি উপজেলায় কৃষি লাইব্রেরী স্থাপনে সরকারের যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে, কয়েক বছরে অতিরিক্ত কৃষিপণ্য উৎপানের মাধ্যমে তা পুরণ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্ট দাবি উত্থাপনকারীরা। এতেকরে সঠিক সময়ে উপযুক্ত নিজস্ব সেবাদানে কৃষক লাভবান হবেন, কৃষি অর্থনীতি আরও দ্রুত সমৃদ্ধ হবে এবং দেশে কৃষিপণ্য উৎপাদনের মোট আয় দ্রুত বাড়বে। এমন যৌক্তিক দাবির সাথে আমি ঐকমত পোষন করছি। কৃষিমন্ত্রীসহ কৃষি প্রধান এ দেশের কৃষি বান্ধব সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, প্রতি উপজেলায় অন্ততঃ একটি করে সবার জন্য উন্মুক্ত কৃষি লাইব্রেরী স্থাপন করা হউক।

-মোঃ মোশারফ হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ভূরদী কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যান সংস্থা, নকলা, শেরপুর, ই-মেইল: musharaf9ab@gmail.com