শ্যামলবাংলা ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘পরিবহন শ্রমিকদের দাবিতে অসঙ্গতি আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হবে।’ তিনি ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘ট্রাফিক সচেতনতামূলক পক্ষ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওই কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পরিবহন চালকদের ৯ দফা দাবি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে । এ দাবি গুলোর মধ্যে কোথাও অসঙ্গতি থাকলে তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।’ সড়কে চলাচলের সময় পরিবহন শ্রমিক ও পথচারী সড়কে আইন মেনে চললে অনেকখানি সফল হবো মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কেউ আইন মানতে চাই না, আইন মেনে চললে সম্মানিত হওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা সড়ক পরিবহন আইন পাশ করেছিলাম যেটা ইমপ্লিমেন্ট করার সময় কয়েকটি যৌক্তিক জটিলতা দেখা দিয়েছিল। সমস্যা সমাধানে বুধবার মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সকল গাড়ির চালক হালকা যানবাহনের লাইসেন্স নিয়ে ভারি গাড়ি চালাচ্ছেন তাদেরকে ড্রাইভিং লাইসেন্স আপডেট করে নেওয়ার জন্য ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দূরপাল্লার ট্রাক, লরির চালকের জন্য বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে। আমরা চাই সকলে নিরাপদ থাকুন। যারা বিশ্রাম ছাড়া গাড়ি চালান তাদের দিয়ে দুর্ঘটনা হয়। এই সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ব্যাপারে পরিবহন নেতৃবৃন্দের আপত্তি ছিল। তারা আমাদের কাছে ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। বাকীগুলো যুগোপযোগী হিসেবে তারা সমর্থন জানিয়েছেন।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাস্তায় চলতে কার কি দায়িত্ব ও করণীয়-বর্জনীয় সে বিষয়ে সচেতন করতে ট্রাফিক পক্ষ করা হচ্ছে। আমরা মনে করি আইন যথাযথভাবে মানলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে।’
অনুষ্ঠানে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘পুলিশ ট্রাফিক ইনফোর্সমেন্টের একটি অংশ পালন করে থাকে। সড়কে কোন কিছু হলে আমরা ট্রাফিক পুলিশকে দোষারোপ করে থাকি। আমরা যারা রাস্তা ব্যবহার করি, আমাদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের সকলের মধ্যে যেন আইন না মানার সংস্কৃতি কাজ করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ রাস্তা থাকার দরকার। সেখানে আমাদের দেশে রাস্তা রয়েছে মাত্র ৮ ভাগ। ড্রাইভার, মালিক-শ্রমিক ও পথচারী সকলকে আইন মেনে চলতে হবে।’