ads

রবিবার , ২১ অক্টোবর ২০১৮ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন?

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
অক্টোবর ২১, ২০১৮ ৫:০৭ অপরাহ্ণ

Shamol Bangla Ads

শ্যামলবাংলা ডেস্ক : সবাইকে ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা। অনেক হয়তো আশ্চর্য হয়েছেন এটা আবার কোন ঈদ! তাই না?
আবার কেউ কেউ বলবেন বা বলতে চাচ্ছেন, মুসলমানদের ঈদ তো দুইটা। তাহলে “ঈদে মিলাদুন্নবী” কোথা থেকে আসলো ?

ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন? আসুন বিষয়টা একটু পরিস্কার হওয়া যাক….

Shamol Bangla Ads

ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল খুশী হওয়া, ফিরে আসা, আনন্দ উৎযাপন করা ইত্যাদি। মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে প্রিয় নবীজীর আগমনকে বুঝায়। আর ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে নবীজীর আগমনে খুশী উৎযাপন করাকে বুঝায়।

সুতরাং অশান্তি আর বর্বরতায় ভরপুর সংঘাতময় আরবের বুকে আধারের বুক চিড়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শান্তি নিয়ে এসে মানবজাতিকে সত্যের, সভ্যতা ও ন্যায়ের দিক নির্দেশনা দিয়ে গোটা বিশ্বকে শান্তিতে পরিপূর্ণ করে তুলেন। নবীজীর পবিত্র শুভাগমনে খুশী উৎযাপন করাটাই হচ্ছে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

এখন হয়তো উপরের লেখাটি পড়ে সামুর মহাজ্ঞানী ব্লগার ব্যক্তিরা একটি সহজ শব্দ ব্যবহার করবেন। আর তা হলো- ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালন করা বিদআত। তাই না?

আরো হয়তো বলবেন, নবীজী যেখানে ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালন করেনি, সেখানে ভন্ড সুন্নীরা নতুন ঈদের সৃষ্টি করেছে। মুসলমানের ঈদের দিন দুইটি। ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা।

তাই আপনাদের একটু মনে করিয়ে দিতে চাই…
আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দিয়েছেন “আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশি পালন কর যা তোমাদের সমস্ত ধন দৌলত অপেক্ষা শ্রেয়। – (সূরা ইউনুস-৫৮)

এবং “স্মরণ কর আল্লাহর নিয়ামতকে যা তোমাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে” -(সূরা বাক্বারা-২৩১)

আবার আরেক আয়াতে বলা হয়েছে…
“হে হাবীব, নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি” -(সূরা আম্বিয়া-১০৯)

এই তিনটি আয়াত একত্রিত করে বিবেচনা করলে দেখা যাবে আল্লাহর নবী আমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত। তাই তিনি যেদিন দুনিয়াতে তাশরীফ এনেছেন সেদিনকে স্মরণ করে আমাদের খুশি পালন করা উচিত। আর এই কাজটিকেই বলা হয় ঈদ ই মিলাদুন্নবী। অর্থাৎ নবীজীর আগমনে খুশী উৎযাপন করা। খুশী বলতে গান বাজনাকে বলা হয় নাই, খুশী মানেই নবীর শানে দরুত পড়া, জিকির করা, নবীজির জীবনী নিয়ে আলোচনা করা ইত্যাদি।

এবার আসছি কঠিন এক প্রশ্নে,
আপনারা অনেকে হয়তো বলতে চাচ্ছেন বা বলবেন, আমাদের প্রিয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম নিজেই মিলাদুন্নবী পালন করেছেন কিনা?

হ্যাঁ। নবীজী নিজেই নিজের মিলাদের দিনকে পালন করতেন। মুসলিম শরীফের একটি হাদিস দিয়েই তার প্রমাণ দেয়ার চেষ্টা করছি।

“হযরত আবু কাতাদা (রাঃ) হতে বর্নিত রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লামার দরবারে আরজ করা হলো তিনি প্রতি সোমবার রোজা রাখেন কেন?

উত্তরে নবীজি ইরশাদ করেন, এই দিনে আমি জম্ম গ্রহন করেছি, এই দিনেই আমি প্রেরিত হয়েছি এবং এই দিনেই আমার উপর পবিত্র কুরআন নাযিল হয়।

-(সহীহ মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, ৮১৯ পৃষ্ঠা, বায়হাকী: আহসানুল কুবরা, ৪র্থ খন্ড ২৮৬ পৃ: মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৫ম খন্ড ২৯৭ পৃ: মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৪র্থ খন্ড ২৯৬পৃঃ হিলিয়াতুল আউলিয়া ৯ম খন্ড ৫২ পৃঃ)”

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদিন তিনি কিছু লোক নিয়ে নিজ গৃহে নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মকালীন ঘটনাবলী বর্ণনা করছিলেন এবং তাঁর প্রশংসাবলী আলোচনা করে দুরুদ ও সালাম পেশ করছিলেন। ইত্যবসরে প্রিয়নবী(সঃ) হাজির হয়ে এ আবস্থা দেখে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত আবশ্যক হয়ে গেল। -(ইবনে দাহইয়ার আত-তানবীর)

ওই বর্ণণা থেকে বুঝা গেল নবীজী ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালনকে সমর্থন করেছেন। আর ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালনের ফযিলত কত বিশাল তা বুঝা যায় আবু লাহাবের ঘটনা থেকেই।

“আবুলাহাব একজন কাফের হওয়ার পরও নবীজীর আগমণের দিন খুশি হয়ে সে তার সংবাদ দাতা দাসী সুয়াইবাকে আযাদ করে দেওয়ার কারনে পরকালে কঠিন আযাবের ভিতরে ও প্রতি সোমবার তার আযাব হালকা করে দেওয়া হয়। -(উল্লেখ্য যে আবু লাহাবের ঘটনা সম্পর্ক হাদিসটি আল্লামা ইবনে জাওযী, আল্লামা কুস্তালানী, আল্লামা জালালুদ্দিন সূয়ূতী সহ আরো অনেকে বর্ণনা করেছেন)

এরপরও যদি রেফারেন্স প্রয়োজন হয় তবে আরো সংক্ষিপ্ত কয়েকটি প্রমাণ দিব। যারা একে জাল কিংবা বানোয়াট প্রমাণ বলবেন এটা সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব ব্যাপার। কেননা জগদ্বিখ্যাত গ্রন্থ “আন নে’মাতুন কোবরা আলাল ফি মাওলিদি সাইয়্যেদ ওলদে আদম” এর ৭-৮পৃঃ থেকে এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। এর উপর যার সন্দেহ রয়েছে তাকে আর কিছুই বলার নেই। রেফারেন্স গুলো দেখতে পারেন!

আল্লামা ইবনে হাজর হায়তামী (রহঃ) বলেছেন, খোলাফায়ে রাশেদীনগণের যুগেও মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম পালন করার নীতি প্রচলন ছিল।

হযরত আবু বকর সিদ্দীক(রাঃ) বলেছেন “যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর জন্য এক দিরহাম খরচ করবে সে জান্নাতে আমার সাথী হবে”

হযরত ওমর(রাঃ) বলেছেন “যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর সম্মান দিবে, সে দ্বীন ইসলামকেই জীবিত রাখবে”

হযরত ওসমান(রাঃ) বলেছেন “যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর জন্য এক দিরহাম খরচ করবে সে যেন নবীজীর সাথে জঙ্গে বদর এবং জঙ্গে হোনাইনে শরীক হলো”

হযরত আলী(রাঃ) বলেছেন “যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামকে তা’যিম করবে এবং মিলাদ পাঠ করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে সে ঈমানের সাথেই দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে”

উপরোক্ত কুরআন এবং হাদিস এর রেফারেন্স থেকে বুঝা যায় ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন হচ্ছে জান্নাত পাওয়ার মাধ্যম এবং সাহাবায়ে কেরামের আমল। তাই সাহাবায়ে কেরামের সাথে একমত পোষন করে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাহফিল করা ঈমানদারদের জন্য একান্ত প্রয়োজন। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন যেন মোনাফিকদের খপ্পর থেকে আমাদের ঈমানকে হেফাজত করেন এবং আমাদের সকলকে তাদের দলভুক্ত করেন যারা ঈদে মীলাদুন্নবীর মর্যাদা দান করেন এবং এর মর্যাদা উপলব্ধি করেন। তিনি আমাদেরকে তাঁর হাবীব, নবী গনের নবী, রসূল গনের রসূল, নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আখাস্‌সুল খাস মুহিব্বীন ও অনুসারী বানিয়ে দিন। আমীন

সকল নবীর নবী মোদের মোহাম্মাদ রাসুল(সঃ) তাহার আগমনে সৃষ্টি মানব জাতি কুল!
তাকে সৃষ্টি না করিলে আমার রাব্বানা
কিছু সৃষ্টি করতো না, পৃথিবীও সৃষ্টি করতো না।

বিঃদ্রঃ বিভিন্ন মাধ্যমে সংগ্রহীত ও পরিমার্জিত।

error: কপি হবে না!