ads

বৃহস্পতিবার , ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আজ শ্রীবরদী মুক্ত দিবস

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ৬, ২০১৮ ১২:১১ পূর্বাহ্ণ

শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি ॥ আজ ৬ ডিসেম্বর; শেরপুরের শ্রীবরদী মুক্ত দিবস। একাত্তরের এদিনে পরাজিত হয় পাক হানাদার বাহিনী। এ যুদ্ধে পাকহানাদারদের হাতে শহীদ হন শ্রীবরদী অঞ্চলের ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধা। নির্বিচারে হত্যার শিকার হয় অনেক গ্রামবাসী। কিন্তু বিজয়ের ৪৭ বছর পরও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি উপজেলার বিভিন্ন বধ্যভূমি।
জানা যায়, ৫ ডিসেম্বর রাতে কামালপুর থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বকশীগঞ্জ হয়ে পাকিস্তানি মেজর আইয়ুব জামালপুরে যাবে- এ খবর ছড়িয়ে পড়ে শ্রীবরদীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে। এজন্য তারা স্থানীয় টিকরকান্দি এলাকায় সম্মুুখ যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন। মেজর আইয়ুব সাজোয়া গাড়ি নিয়ে সেই রাস্তায় যাওয়ার পথে শুরু হয় যুদ্ধ। স্থলমাইন বিস্ফোরণ আর গুলির বিনিময়ের মধ্যে পরাজিত হয় মেজর আইয়ুবসহ পাক সেনারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ভোরে শতশত লোক বকশীগঞ্জ সড়কে গিয়ে জড়ো হয়। সবার কন্ঠে মুখরিত হয়ে ওঠে ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’। সেখান থেকে দলে দলে উচ্ছসিত মানুষ আর মুক্তিযোদ্ধারা যায় শ্রীবরদী বাজারের পুরাতন হাসপাতাল মাঠে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ওইসব মুক্তিকামী মানুষসহ মুক্তিযোদ্ধারা। সেই পাক হানাদার বাহিনীর পরাজিত হওয়ার বর্ণনা দিয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক মুন্সী (বীর প্রতীক ‘বার’) বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে এদিন ছিল শ্রীবরদীর জন্যে বিজয়ের দিন। এ যুদ্ধে মেজর আইয়ুবসহ পাক সেনারা পরাজিত হওয়ার কারণে শেরপুর ও জামালপুরের পাক সেনারা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থান ও বধ্যভূমি রয়েছে উপজেলার পৌর শহরের থানা রোডে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেনের বাসায়, ভায়াডাঙ্গা, বালিজুরির রাঙাজানসহ কয়েকটি স্থানে। ওইসব কবরস্থান আর বধ্যভূমিগুলো আজও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, ওইসব বধ্যভূমি সংরক্ষণের।
এদিকে ৬ ডিসেম্বর শ্রীবরদী মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে পৃথক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

error: কপি হবে না!