ads

সোমবার , ৩০ মে ২০১৬ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ভেঙ্গে ফেলা হলো নাকুগাঁও স্থলবন্দর মহাসড়কের সদ্যনির্মিত বক্স কালভার্ট

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
মে ৩০, ২০১৬ ৪:৪১ অপরাহ্ণ

Nalitanbari KarlVatনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি : পুরনো বক্স কালভার্টের ব্যাচের উপর নতুন ব্যাজ সংযোজন করায় এবং নিম্নমানের কাজ করায় অবশেষে ভেঙ্গে ফেলতে হলো শেরপুরের নকলা থেকে নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন মহাসড়কের মাঝে সদ্যনির্মিত ৪০ ফুট দৈর্ঘের বক্স কালভার্টটি। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তসাপেক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এটি ভাঙতে নির্দেশ দেন।
শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন নাকুগাঁও স্থলবন্দর মহাসড়কে ১০টি বক্স কালভার্ট নিমার্ণের জন্য ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় শেরপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আক্রাম এন্টারপ্রাইজ। এরই অংশ হিসেবে নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া এলাকায় বাল্লাকান্দা বাজারের দক্ষিণ পাশে ৪০ ফুট দৈর্ঘ বক্স কালভার্টটির নির্মাণকাজ চলছিল।
এলাকাবাসী জানায়, পুরনো কালভার্টটি ভেঙ্গে ফেললেও ব্যয় বাঁচাতে ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ পুরনো ব্যাজ না ভেঙ্গে তার উপর নতুন সংযোজন করে ব্যাজ তৈরি করে এবং নিম্নমানের কাজ করে। ওই সময় তারা বাধা দিলেও তা মানা হয়নি। ফলে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর দু’পাশে মাটি ভরাটের সময় কালভার্টটির দুইপাশে নির্মিত উইং ওয়ালে অসংখ্য ফাটল দেখা দেয়। ওইসময় এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালে তাতে সিমেন্টের লেপ দিয়ে প্রায় দুই মাস আগে কালভার্টটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তাই এলাকাবাসী একটি লিখিত অভিযোগ সড়ক ও সেতু মন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে তদন্তসাপেক্ষে অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তা ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশ প্রদান করেন। ফলে ৩০ মে ভোর থেকে একটি ৫ টন ওজনের হ্যামার মেশিন ও একটি স্কেভেটর দিয়ে বক্স কালভার্টটি ভেঙ্গে ফেলতে শুরু করে ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আক্রাম এন্টারপ্রাইজের নামে কাজটি প্রাপ্ত হলেও কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে এর অর্ধেক শেয়ার নেন নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই প্রভাবশালী নেতা। তারাই কাজটির দেখাশোনা করে আসছিলেন।
এ ব্যাপারে আক্রাম এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মোঃ আক্রাম হোসেন জানান, মোট ১০টি বক্স কালভার্ট নিয়ে প্যাকেজের মধ্যে একটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় এটি নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। বাকী ৯টি ঠিক আছে। এতে আমার লোকসান গুনতে হবে।
শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, নির্মাণের পরপরই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বেশকিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে। ফলে এটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

error: কপি হবে না!