ads

সোমবার , ২৭ নভেম্বর ২০১৭ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

পিলখানা হত্যা মামলায় ১৩৯ জনের ফাঁসি বহাল

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ২৭, ২০১৭ ৫:৪৫ অপরাহ্ণ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক : পিলখানা হত্যা মামলার আপিলের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ আসামির মধ্যে ১৩৯ জনের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আটজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পিন্টু নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন। বিশেষ এ বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
জজ আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং খালাস পেয়েছেন ১২ আসামি।
জজ আদালতে খালাস পাওয়া যে ৬৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছিল, তাদের মধ্যে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া সাত বছর করে চারজনকে কারাদণ্ড এবং ৩৪ জনের খালাসের রায় বহাল রাখা হয়েছে।
এ মামলার সাড়ে ৮শ আসামির মধ্যে আরো ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন জজ আদালত। তাদের মধ্যে ১৮২ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, আট জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ২৯ জনকে খালাসা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার সকালে বহুল আলোচিত বিডিআর বিদ্রোহের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা কার্যকরের অনুমোদন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন এবং খালাস চেয়ে আসামিদের করা আপিলের রায় পড়া শুরু হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার রায়ের পর্যবেক্ষণ অংশ পড়া শুরু করেন। পর্যবেক্ষণ পড়া শেষে ওই রায় ঘোষণা করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা কার্যকরের অনুমতি (ডেথ রেফারেন্স) ও আপিল শুনানি শেষ হওয়ার সাত মাস পর রোববার সকালে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে রায় পড়া শুরু হয়। প্রথম দিনে শুরুতে বিচারপতি শওকত হোসেন রায় পড়া শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে অসমাপ্ত অবস্থায় প্রথম দিনের রায় পড়া শেষ হয়।
এর আগে মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের সব ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের ওপর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টের বিশেষ এই বেঞ্চ আপিলটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে আপিলের শুনানি শুরু হয়। আপিলে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, বিডিআর বিদ্রোহে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডগুলোর একটি। এই মামলায় ঘাতকদের চরম দণ্ড দেওয়া না হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে না। তিনি আরও বলেছিলেন, পিতার সঙ্গে সন্তানের যে সম্পর্ক, সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের সৈনিকদেরও সে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিডিআর জওয়ানরা তাদের সে সম্পর্ককে পদদলিত করেছে। মৃত্যুর আগে যেভাবে কর্মকর্তাদের নির্যাতন করা হয়েছে, তাদের অসম্মান করা হয়েছে, তা নজিরবিহীন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম জাহিদ সরোয়ার কাজল সমকালকে জানান, মোট একশ’ ২৪ কার্যদিবসে মামলায় পেপারবুক উপস্থাপন করা হয়। ৩৭০ কার্যদিবসে মামলার শুনানি হয়।
রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো.আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২৭৮ জনকে খালাস দেওয়া হয়। আর ৪ জন আসামি বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। রায়ে খালাসপ্রাপ্ত ৬৯ জন আসামির সাজা চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে দণ্ড প্রাপ্ত ৪১০ জন আসামি তাদের সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ ছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিচার চলাকালে তৎকালীন বিডিআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়।
মামলায় আসামিদের মধ্যে বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীরও দণ্ড হয়। সাজা ভোগকালীন পিন্টু অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। রক্তক্ষয়ী ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী এ বাহিনীর নাম পরিবর্তন করা হয়। নাম বদলের পর এ বাহিনী এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হিসেবে পরিচিত।

error: কপি হবে না!