নীলফামারী প্রতিনিধি : উজানের ঢলে ও টানাবর্ষনে তিস্তানদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে তিস্তা অববাহিকার বিভিন্ন গ্রাম ও এলাকা। নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা, কালিগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের সহস্রাধীক পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়িগুলো হাঁটু পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
ডালিয়া পাউবো বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পুর্বাভাস সুত্র জানায়, উজানের ঢলে আজ সোমবার ভোর ৫টা থেকে নীলফামারীর ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫০ দশমিক ৩৫) ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। এর আগে রবিবার সন্ধ্যা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ও রাত ১০টায় ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।ফলে আবারো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে দেখা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের সব কয়টি(৪৪টি) গেট খুলে রাখা হয়েছে।
এদিকে তিস্তানদীর পানিতে খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, খগাখড়িবাড়ি, পুর্ব ছাতনাই, নাউতারা, জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডাসহ লালমনিরহাট জেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক আব্দুল লতিফ খান বলেন, তিস্তা বন্যা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।শুধু আমার এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বন্যা কবলিত এলাকা গুলো মনিটরিং করা হচ্ছে এবং সরকারি ভাবে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষজন কে নিরাপদে রাখা ও তাদের সার্বক্ষনিক খোঁজখবর রাখতে জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে।