খোরশেদ আলম, ঝিনাইগাতী ॥ ঝিনাইগাতী উপজেলায় বিদ্যালয় অডিটে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি অডিট সম্পন্ন হওয়া ৫টি বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তা আমলে না নিয়ে জেলায় বসে অডিট কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অনিয়ম-দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই সরেজমিনে না গিয়ে দায়সারা অডিটের অভিযোগ তুলেছেন ওইসব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অভিভাবক সদস্যরা।
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতি ৫ বছর পরপর তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অডিট করে থাকেন। এর অংশ হিসেবে চলতি বছর এ উপজেলার ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অডিটের আওতায় আনা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, বাকাকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়, পাইকুড়া এ.আর.পি উচ্চ বিদ্যালয়, বনগ্রাম হাফেজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, ফাকরাবাদ একতা উচ্চ বিদ্যালয় ও পানবর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা। এসব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অভিভাবক সদস্যরা জানায়, বিদ্যালয় গুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে অডিট করা হলেও তাদের না জানিয়ে অডিট কর্মকর্তাগন শুধু প্রধান শিক্ষকদের সাথে যোগসাজস করে তা সম্পন্ন করেন। নিয়ম অনুযায়ী অডিট কর্মকর্তাগণ স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তা অডিট করার কথা থাকলেও তা না করে জেলা সদরে বসে অডিট কাজ সম্পন্ন করেন। অভিযোগ রয়েছে, উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি রয়েছে। ফাকরাবাদ একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকায় দীর্ঘদিন থেকে তিনি বিদ্যালয়ে যান না। অথচ বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাকাকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির কারনে উক্ত প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা মুখ থুবড়ে পড়েছে। তার অভিযোগ বিদ্যালয়ের অডিটের বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদেরও একই অভিযোগ। অডিট টিমের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি। জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ সৈয়দ উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অডিটের বিষয়টি তিনি অবগত নন।